ভোলার চরফ্যাশনে জমি নিয়ে পূর্ববিরোধের জের ধরে এক কৃষকের শতাধিক সুপারি ও কলা গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে স্থানীয় সোলাইমান ও আবুল কালামকে। ভুক্তভোগী কৃষক বেল্লাল হোসেন এ ঘটনায় বাদী হয়ে শুক্রবার চরফ্যাশন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) চরফ্যাশন থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এর আগে শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে আমিনাবাদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। কৃষক বেল্লাল হোসেন ও অভিযুক্ত সোলাইমান এবং আবুল কালাম একই এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় একটি কৃষিজমি নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে কৃষক বেল্লালের পরিবারের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে আদালতে একটি মামলাও চলমান রয়েছে।
কৃষক বেল্লাল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় বছর ধরে আমি এই জমিতে চাষাবাদ করে ভোগদখলে আছি। চলতি মৌসুমে আমি এখানে ধান চাষ করেছি এবং জমির পশ্চিমাংশে শতাধিক সুপারি ও কলাগাছ রোপণ করেছি। সোলাইমান ও আবুল কালামের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন ব্যক্তি মুসল্লির বেশভূষায় জুমার নামাজ চলাকালে ধারালো দা ও ছেনি দিয়ে আমার রোপণ করা শতাধিক সুপারি ও কলাগাছ কেটে নিয়ে যায়। তারা জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের নামে ওই জমি রেকর্ড করে নিয়েছে।’
কর্তনকৃত গাছের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সোলাইমান বলেন, ‘আমরা ১০২ বছর ধরে জমিটি ভোগদখলে আছি। গাছ কাটার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না।’
তবে গাছ কাটার সময় পার্শ্ববর্তী এক প্রতিবেশীর মোবাইল ফোনে ধারণ করা স্থিরচিত্রে তাকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত দেখা গেছে—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি এড়িয়ে যান।
চরফ্যাশন থানার ওসি জাহাঙ্গির বাদশা বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন