বাগেরহাটে ফকিরহাট উপজেলার কাহারডাঙ্গা গ্রামের এক বৃদ্ধ দম্পতিকে অচেতন করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটের ঘটনার পর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর থানায় মামলা হলে পুলিশ একজনকে আটক করে। তবে এখন আসামির স্বজনদের হুমকিতে স্বাভাবিকভাবে বসবাসও করতে পারছেন না তারা।
প্রতিবেশী নাজনীন আরা পারভিন জানান, প্রায়ই ফারুক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে লোকজন ভিড় করছে। এরপর তারা ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এতে বাড়িটি এখন কার্যত মানুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।
অন্য প্রতিবেশী মো. কবির বলেন, মামুনের চাচাতো ভাই ফারুকের লোকজন বারবার ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে তারা আতঙ্কে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু বিচার না হলে গ্রামে কেউই শান্তিতে থাকতে পারবে না। যেকোনো বাড়িতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মামুন বিশ্বাস জানান, অজ্ঞাত চোরেরা চেতনানাশক স্প্রে ব্যবহার করে তার বাবা-মাকে অচেতন করে রান্নাঘরের ভেন্টিলেটর ও সিঁড়ির দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে। পরে সংবাদ প্রচারের পর পুলিশ মামলা নেয় এবং মোকছেদ সরদার নামের একজনকে আটক করে।
তবে তার অভিযোগ, আটককৃত আসামিকে ছাড়িয়ে আনতে চাচাতো ভাই ফারুক দৌড়ঝাঁপ করছে এবং নিয়মিত ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে তার বাড়িতে আশা লোকজন। এতে তার মা ও বাবাকে নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
মামুন বিশ্বাস আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তার চাচাতো ভাইও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
এ বিষয়ে ফারুকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার সাথে জায়গা জমি নিয়ে ঝামেলা থাকার কারনে আমাকে ফাসানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে ফকিরহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, চুরির মামলায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা চাইলে থানায় এসে জিডি করতে পারবেন। থানা থেকে জিডি করতে নিষেধ করার বিষয়ে তিনি অবগত নন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন