বরগুনার আমতলীতে দৈনিক কালবেলার উপজেলা প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) আমতলী শাখার সভাপতি মনির হোসেনকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কথিত ভূমিদস্যু মো. মোজাম্মেল গাজী।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সাংবাদিক মহল। অভিযুক্ত মোজাম্মেল গাজীর বিরুদ্ধে মন্দিরের জমি দখলের অভিযোগসহ একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের তথ্যও উঠে এসেছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় আমতলী পৌরসভার পুরানবাজার এলাকার সড়ক দখল করে মুরগির হাট বসানো নিয়ে। জনদুর্ভোগের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরেন সাংবাদিক মনির হোসেন। তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে ‘সরকারি টলঘর প্রভাবশালীর দখলে’ শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি।
পোস্টটি নজরে আসার পর গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আমতলী বাজারে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে নাস্তা করতে গেলে মোজাম্মেল গাজী তাকে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। ছেলের সামনে এমন আচরণের প্রতিবাদ জানালে মোজাম্মেল গাজী মনির হোসেনকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেন এবং প্রাণনাশেরও হুমকি উচ্চারণ করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল গাজী তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
এ ঘটনার পরপরই ফেসবুকে তীব্র প্রতিবাদ জানান বিএমএসএফ-এর কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর। বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক তাপস মাহমুদও ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আমতলী প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি নাসির মাহমুদ বলেন, ‘সাংবাদিক সত্য প্রকাশ করবেই। তাকে হুমকি দেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। হুমকিদাতাকে তদন্তসাপেক্ষে আইনের আওতায় আনা উচিত।’
আমতলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. কবির ফকির বলেন, ‘সাংবাদিক তার লিখনীর মাধ্যমে সত্য তুলে ধরবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা হয়ে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়া প্রমাণ করে দেশে এখনো স্বৈরাচারী মানসিকতা কাজ করছে। মোজাম্মেল গাজীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।’
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘ঘটনার পর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :