বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়কের বেতাগী বাসস্ট্যান্ড থেকে নিয়ামতি পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার অংশ এখন পথ নয়, বরং যানজট ও দুর্ঘটনার ‘মরণফাঁদ’। চার বছর আগে সারাই করা সড়কটি ফের খানাখন্দে ভরপুর, বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। নামমাত্র মেরামতের কারণে জনসাধারণের চলাচল দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শতাধিক বড় ছোট গর্ত আর উঠে যাওয়া কার্পেটিংয়ের কারণে সড়কটি কাদাপানির নদীতে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টিতে এসব গর্তে পানি জমে গভীরতা বোঝা যায় না, যার ফলে ছোট যানবাহনসহ মোটরসাইকেল, মাহিন্দ্রা গাড়ি উল্টে যাচ্ছে। বড় ট্রাক ও বাসগুলোও হেলেদুলে চলাচল করছে। এতে যাত্রী ও চালকদের জীবন বিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি যানবাহনের যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে।
বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গোলাম হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটাকে মহাসড়ক বলা মজার ব্যাপার। দীর্ঘদিন ধরে এই ভাঙা রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে করতে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। দ্রুত নতুন নির্মাণ না হলে দুর্ভোগের অবসান হবে না।’
মাহিন্দ্রা চালক মাইনুল ইসলাম জানান, ‘বৃষ্টিতে পানি জমে রাস্তা চালানো অসম্ভব। গর্তে পানি থাকায় গভীরতা বোঝা যায় না, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাই। গাড়ির মেরামতে অনেক খরচ হয়, আয়ের বড় অংশ সেটাতেই চলে যায়।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের প্রকল্পের আওতায় ২০১৫ সালে সড়কটি নির্মাণ করা হলেও নিম্নমানের কাজের কারণে দ্রুতই ভাঙতে শুরু করে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে নামমাত্র সংস্কার হলেও তা টেকসই হয়নি। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, তারপর থেকে গত ৪-৫ বছর কোনো কার্যকর সংস্কার হয়নি, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
বেতাগী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী শেখ তৌফিক আজিজ বলেন, ‘জনদুর্ভোগ লাঘবের জন্য আমরা সড়কটির স্থায়ী সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। খুব শীঘ্রই অর্থ বরাদ্দ পেলে দরপত্র আহ্বান করে কাজ শুরু করব।’