ঢাকা রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

বেতাগীতে জন্মাষ্টমীর বর্ণিল শোভাযাত্রা

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৫, ১১:০৮ পিএম
বেতাগী উপজেলায় জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শনিবার বিকেলে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে পূজা উদযাপন কমিটি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বরগুনার বেতাগী উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও শাস্ত্রীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা কেন্দ্রীয় কালি মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।

নানা রঙের ব্যানার, ফেস্টুন ও ঢাকঢোলের তালে ভক্তদের পদচারণায় শোভাযাত্রাটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। এতে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অংশ নেন।

এ সময় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি বেতাগী উপজেলা শাখার সভাপতি কৃষ্ণ কর্মকার, সাধারণ সম্পাদক সুমন গুহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় হালদারসহ বিপুলসংখ্যক ভক্ত ও স্থানীয় সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রা শেষে মন্দির প্রাঙ্গণে একটি ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, জন্মাষ্টমী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আত্মার উৎসব। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির মুক্তি ও কল্যাণের জন্য। যখনই অধর্মের প্রাধান্য ঘটে, তখনই তাঁর শিক্ষার দিকে ফিরে তাকাতে হয়।

সাধারণ সম্পাদক সুমন গুহ বলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের প্রতীক। তাঁর জীবনদর্শন অনুসরণ করলেই সমাজে ন্যায়পরায়ণতা প্রতিষ্ঠিত হবে। বর্তমান প্রজন্মকে কৃষ্ণভাবনা ও গীতার শিক্ষার আলোকে গড়ে তুলতে হবে।

বক্তারা বলেন, দ্বাপর যুগে ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হিসেবে শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সেই তিথিটিই জন্মাষ্টমী হিসেবে বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। সনাতন বিশ্বাস অনুযায়ী, সাধুদের রক্ষা, দুষ্টের বিনাশ এবং ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য ভগবান যুগে যুগে নানা রূপে আবির্ভূত হন। শ্রীকৃষ্ণ সেই ধারাবাহিকতায় মানব সভ্যতাকে ন্যায়, প্রেম ও সুশাসনের দিশা দিয়েছেন।

বেতাগীর শ্রীশ্রী কালি মন্দিরসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে দিনব্যাপী উপবাস, পূজা-অর্চনা ও কীর্তনের মধ্য দিয়ে ভক্তরা জন্মাষ্টমী পালন করেন। শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উৎসবকে আরও আনন্দমুখর করে তোলে।

অনুষ্ঠান শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় পুরো আয়োজন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।