শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আহাদ তালুকদার, আগৈলঝাড়া

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম

১৬ বছর ধরে শিকলবন্দী আগৈলঝাড়া রতন, সহযোগিতা চায় পরিবার

আহাদ তালুকদার, আগৈলঝাড়া

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কোমরে শিকল পরা অবস্থায়ই দিন শুরু হয়, বিকেল গড়িয়ে অন্ধকার নামে এ অবস্থাতেই। ১৬ বছর যাবত কোমরের সঙ্গে শিকল যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে রতনের। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রেমের রতন বাড়ৈ ১৬ বছর আগে মাথায় আঘাত লেগে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তখন থেকে কোমরে শিকল বাঁধা হয়ে  ১৬ বছর ধরে মানবেতর জীবনযাবন করছেন মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবক। জীবনের বড় একটি সময় সুস্থ সবল থাকলেও একপর্যায়ে স্বাভাবিকতা হারান, রতন বাড়ৈ পশ্চিম মোল্লাপারা গ্রামের মৃত-চিত্তরঞ্জন বাড়ৈর একমাত্র ছেলে। 

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রতন বাড়ৈ ১৬ বছর আগে গাছের শিকড়ে বেঁধে পরে গিয়ে মাথায় আঘাত লেগে। তখন ডাক্তার দেখানো শুরু করে, কিন্তু ভাগ্যর নির্মম পরিহাসে পরিবারের একমাত্র উপার্জন করা ব্যক্তি রতনের বাবা মৃত্যু বরন করে। তারপর থেকে অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায় রতনের। আর দিনদিন মানসিক সমস্যা বাড়াতে থাকে রতনের, মানুষ দেখলেই ভয়ে এদিক সেদিক চলে যায় রতন। পরে বাধ্য হয়ে রতনের মা একমাত্র ছেলের কোমরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে।

৩ বোনের একমাত্র ভাই রতন বাড়ৈ। রতনের বোন সিমা বাড়ৈ বলেন, একমাত্র ভাইয়ের কোমরে শিকল বাধা দৃশ্য ও তার আত্মচিৎকারের কষ্ট আর সইতে পারি না।  অর্থের অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারি না।  সরকার যদি ওকে একটু চিকিৎসার ব্যাবস্থা করতো তাহলে একমাত্র ভাই আবার হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারতো। 

প্রতিবেশী ও রতনের খেলার সাথিরা জানান রতনের এই কষ্ট চোখে দেখার মত না। ওর মা ছেলের পাশে গিয়ে দেখি শুধু চোখের পানি ঝড়ায়।  কয়েকদিন যাবত মাও অসুস্থ হয়ে পরে তার অপরেশন করা হয়। রতনের একমাত্র দেখাশোনা করা ওর মায়ের মৃত্যুর পরে ওর জীবনের কি হবে? । সরকার যদি ওর একটু চিকিৎসার ব্যাবস্থা করে তাহলে ও আবার হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে। 

সরকার এই অসহায় পরিবারটির পাশে দাড়িয়ে। রতনের একটু চিকিৎসার ব্যাবস্থা করে দিয়ে রতনকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ করে দিবে এমটা প্রত্যাশা স্থানীয় সকলের।

আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন জানান, ছেলেটার বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি স্থানীয়ভাবে তার ভালো চিকিৎসা সম্ভব নয়। সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে চিকিৎসা প্রদান করা হবে।


 

আরবি/জেডআর

Shera Lather
Link copied!