বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিন বছর ধরে পালিত হচ্ছে এক বিশালাকৃতির গরু। যার ওজন প্রায় ৩০ মণ। আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ‘ফণী টু’ নামের এই গরুটি।
গরুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ফুট ও উচ্চতা ৬ ফুটের মতো। গরুটি ঘাস বাদ দিয়েই গড়ে প্রতিদিন ৭০ কেজি খাবার খায়।
গরুটির মালিক আব্দুস সালাম এবং তার ছেলে মো. শাকিল সুমন জানান, নিজেদের হাতালের একটি গাভির বাচ্চা থেকেই বেড়ে উঠেছে ‘ফণী টু’। ২০১৯ সালের ঘূর্ণিঝড় ফণীর নাম অনুসারে গরুটির এই নামকরণ।
তিন বছরে গরুটি শুধু প্রাকৃতিক খাদ্যেই বড় হয়েছে বলে দাবি করেন সালাম। তিনি বলেন, এ গরুকে ফিড বা কেমিক্যাল কিছুই খাওয়ানো হয়নি। আমরা গমের ভুসি, ভুট্টার গুঁড়ি, ডাবলি, সয়াবিন ভুসি, ছোলা বুট, খৈল, কলা, খুদ আর কিছুটা ঘাস খাইয়েছি। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে কেমিক্যাল দিয়েছি, তাহলে গরুটি বিনা দামে দিয়ে দেব।
দুই বেলা গোসল করানো হয়, মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোসহ সবধরনের যত্নই নেওয়া হয় বলে জানান শাকিল সুমন।
এত বড় গরুর জন্য স্থানীয় হাটে ক্রেতা কম থাকায়, আগেও একটি বড় গরু চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করতে হয়েছিল বলে জানান তিনি। ‘ফণী টু’ এর দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা, তবে দরদাম করা যাবে বলেও জানান সুমন।
এই বিশাল গরুটি এখন বরিশালের ঈদ হাটে এক বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।