মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২৫, ০৬:০৯ এএম

চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে মারধর, স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২৫, ০৬:০৯ এএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

ভোলার তজুমদ্দিনে গৃহবধূকে গণধর্ষণ এবং তার স্বামীকে মারধর ও চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে শ্রমিকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নির্যাতিত নারীর স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় দুইজন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাসহ মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রোববার (২৯ জুন) রাতে তজুমদ্দিন উপজেলার কামাড়পট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মো. রুবেলের বাড়ি উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নে। তিনি ঢাকায় হোটেল শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এবং প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে সেখানেই থাকেন। দ্বিতীয় স্ত্রী থাকেন তজুমদ্দিনে। পারিবারিক বিরোধের কারণে দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের ফোন পেয়ে তিনি তজুমদ্দিন যান।

রুবেলের অভিযোগ, সেখানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আটকে মারধর করা হয়। উপজেলা শ্রমিকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাসেল আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সজিবসহ আরও কয়েকজন মিলে তার ওপর চড়াও হন এবং চার লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

টাকা না দিলে পরিণতি খারাপ হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। পরে তার প্রথম স্ত্রী ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও আটকে রাখা হয়। এরপর রুবেলকে ঘরের বাইরে নিয়ে গিয়ে তার স্ত্রীর ওপর তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।

ধর্ষণের ঘটনার পর বিষয়টি গোপন রাখার হুমকি দিয়ে বিকেলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া ওই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীদের সহায়তায় তিনি ৯৯৯-এ ফোন দেন এবং পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।

তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোহাব্বত খান জানান, রুবেল বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে মামলা করেছেন। মামলায় ধর্ষণে সরাসরি জড়িত তিনজন এবং মারধরে জড়িত আরও ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে।

ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মো. শরীফুল হক বলেন, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে একজনকে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. রাসেল বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না, শুধু ফেসবুকে জেনেছি।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টু বলেন, ‘যদি কেউ সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অপরাধে জড়িত থাকে, তাহলে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পুলিশের তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।

Shera Lather
Link copied!