ঢাকা শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দুই বছরের শিশুর গলায় ছুরি ধরে মা’কে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার-৩

মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম
আটককৃতরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ভোলার মনপুরা উপজেলায় এক নারীকে তার দুই বছর বয়সী ছেলের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রেপ্তারকৃত তিন অভিযুক্তকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- খোরশেদ আলমের ছেলে রুবেল, জাহাঙ্গীর পাটোয়ারীর ছেলে নাহিদ এবং সালাউদ্দিন সওদাগরের ছেলে সাব্বির হোসেন ওরফে জিহাদ। পলাতক আসামির নাম সজীব। গ্রেপ্তারকৃত এবং পলাতক আসামিরা সবাই বিচ্ছিন্ন কলাতলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী নারী জানান, তার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন এবং তিনি তার একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। সোমবার রাতে তার মোবাইলে একটি কল আসে, যেখানে বলা হয় তার নম্বরে ৫০ টাকা রিচার্জ হয়েছে এবং এই টাকা ফেরত দিতে হবে।

তিনি ব্যালেন্স চেক করে দেখেন কোনো টাকা আসেনি, তবুও বারবার ফোন করে তাকে বিরক্ত করা হয়। রাত আনুমানিক ২টার দিকে ঘরের বেড়া কেটে কয়েকজন ঘরে প্রবেশ করে তার ছেলের গলায় ছুরি ধরে। এরপর দুজন তার মুখ ও হাত-পা চেপে ধরে এবং রাতভর তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্বজনদের পরামর্শে দুই দিন পর তিনি মনপুরা থানায় মামলা করেন।

এ ঘটনায় মনপুরা সদর থানার ওসি আহসান কবির জানান, গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার বিচ্ছিন্ন কলাতলী ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর খাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনার দুই দিন পর বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই নারী চারজনের বিরুদ্ধে মনপুরা সদর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরপর শুক্রবার বিকেলে মনপুরা থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় জড়িত অন্য এক আসামি এখনো পলাতক আছে।’

ওসি আরও বলেন, চারজন যুবক এক নারীকে তার ছেলের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে গণধর্ষণ করে। মামলা হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পলাতক অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। তিনি আরও জানান, এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি নিজেই দায়িত্ব পালন করছেন।