বগুড়ার শাজাহানপুরে এক ব্যক্তিকে মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল রুহুল আমিনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আটক হওয়া কনস্টেবল রুহুল আমিন বগুড়া পুলিশ লাইনে কর্মরত। আগের এক অভিযোগে তাকে সেখানে সংযুক্ত করা হয়েছিল।
এলাকাবাসীর দাবি, তিনি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এলাকায় গিয়ে এক নেতার বাড়িতে খোঁজ নেন এবং ঘরে অস্ত্র আছে বলে ভয় দেখিয়ে তার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
নেতার মেয়ে জানান, এক সপ্তাহ আগে রুহুল আমিন ডিবি পরিচয়ে এসে তার বাবার অনুপস্থিতিতে ৫০০ টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ফের এসে প্রথমে অস্ত্র লুকানো আছে বলে ভয় দেখান এবং পরে একটি ব্যাগ থেকে গুলি বের করে আমার ভাইকে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাইয়ের ব্রেন টিউমারের রোগী। আমি অনুরোধ করি তাকে ছেড়ে দিতে, কিন্তু তিনি বলেন, টাকা না দিলে মামলা হবে।
এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে রুহুল আমিনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত কনস্টেবল রুহুল আমিন আগে থেকেই পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ছিলেন। ঘটনার তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যেত। কিন্তু জনতা যে মারধর করেছে সেটিও আইনসিদ্ধ নয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শাজাহানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।