বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম

দুপচাঁচিয়ায় মাদ্রাসা সুপারের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজ্জাক-উল-হাইদার মন্ডল। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজ্জাক-উল-হাইদার মন্ডল। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় দাইমপুর ইশার উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য ও সাবেক দাতা সদস্য রাজ্জাক-উল-হাইদার মন্ডল।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

রাজ্জাক-উল-হাইদার মন্ডল জানান, তিনি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ফয়েজ উদ্দিন মন্ডলের পুত্র এবং ২০১৬ সালে দাতা সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর তিনবার ম্যানেজিং কমিটি গঠন হলেও তাকে নিয়ম অনুযায়ী অবহিত করা হয়নি।

তিনি অভিযোগ করেন, সর্বশেষ ২০২৪ সালের পূর্ববর্তী কমিটি সরকার বাতিল করার পর ১৩ আগস্ট নতুন কমিটি গঠনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী তফসিলটি প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে টাঙিয়ে রাখার কথা থাকলেও সুপার আব্দুস সালাম তা না করে ‘পকেট কমিটি’ গঠনের উদ্দেশ্যে গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

রাজ্জাক-উল-হাইদার জানান, তিনি ২৬ আগস্ট বিষয়টি জানতে পেরে অফিস সহকারীর কাছ থেকে তফসিল সংগ্রহ করেন। তফসিল অনুযায়ী, ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

এরপর ১ সেপ্টেম্বর তিনি সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র তুলতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার মো. জাহিদ হাসানের কাছে গেলে তিনি জানান, ওই মাদ্রাসার কমিটি ইতোমধ্যে ২৬ আগস্ট গঠিত হয়েছে।

এ সময় তিনি প্রিজাইডিং অফিসারকে তফসিল দেখালেও সদুত্তর না পেয়ে তাকে সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এতে প্রমাণিত হয়, সুপার নিজেই কমিটি গঠনে অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ করেন রাজ্জাক-উল-হাইদার।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, সুপার আব্দুস সালাম শুধু কমিটি গঠনে নয়, বিভিন্ন নিয়োগ ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি, অ্যাডহক কমিটিকে ম্যানেজিং কমিটি দেখিয়ে কাগজপত্র উপস্থাপন, পুরোনো ইনডেক্স বিল পাস করে নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া, কর্মচারীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, বরাদ্দকৃত অর্থে মাটি না ভরাট করে ক্ষতি সাধনের মতো অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া দুই জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে প্রায় ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং অ্যাডহক কমিটির সভাপতিকে ভুল বুঝিয়ে আরও ৩১ লাখ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ তোলেন তিনি। সুপার আব্দুস সালাম বিরোধিতা করলে মামলা করার হুমকিও দিয়ে থাকেন বলে দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে রাজ্জাক-উল-হাইদার মন্ডল সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারের বিরুদ্ধে তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

Link copied!