বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়ায় হেমচাঁদ পোদ্দার হিমু নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা হিমুর বোন বিমলা পোদ্দারকে (৬৫) হত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
নিহত বিমলা উপজেলার তালোড়া পৌর এলাকার বাজার মহল্লার মৃত রাধেশ্যাম পোদ্দারের মেয়ে।
এ ঘটনার পর বগুড়া ডিবি পুলিশ ও দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশের চৌকশ টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চারজন ডাকাতকে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: দুপচাঁচিয়া তালোড়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের নবাব আলীর ছেলে জুয়েল হোসেন (২৬), তালোড়া পৌর এলাকার সাবলা মহল্লার হাফিজা রহমানের ছেলে আসলাম হোসেন (২৫), কাহালু উপজেলার পগুইল গ্রামের নাজির উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে ইমরান আলী (৩১), শিবগঞ্জ উপজেলার খেওনী বিন্নাচাপড় গ্রামের বাছেদ প্রামানিকের ছেলে বাহালুল প্রামানিক রাজু (৩১)।
ক্ষতিগ্রস্ত হেমচাঁদ পোদ্দার হিমু জানান, ‘আমরা দুই ভাই ও তিন বোনসহ মোট পাঁচজন এই বাড়িতে বসবাস করি। ঘটনার দিন রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ৫ থেকে ৭ জনের এক ডাকাতদল মুখোশ পরে বাড়ির পেছনের দিকে প্রবেশ করে ঘরের দরজায় ধাক্কা দেয়। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ডাকাতরা আমাদের বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। এ সময় আমার বোন বিমলা চিৎকার করলে ডাকাতরা তাকে হত্যা করে। বাধ্য হয়ে সিন্দুকের চাবি ডাকাতদের দিয়ে দিলে তারা সিন্দুক খোলে এবং ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করে আনুমানিক ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।’
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম জানান, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতরা বিমলা পোদ্দারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। খুন ও ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
১৭ দিনের ব্যবধানে উপজেলার দেবখন্ড গ্রামে জাহিদুল ইসলামের বাড়ি এবং ভেলুরচকে আশিকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পরপর এই তিনটি ডাকাতির ঘটনায় এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন