কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় জমির উঠতি আমন ধানগাছ পানির নিচে রয়েছে। পাকা, আধাপাকা ও গামোর ধানের শীষ পানিতে ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। দু-তিন দিনের মধ্যে জমির পানি সরে না গেলে পানির নিচে থাকা ধানের শীষ পচন ধরে নষ্ট হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। ফলে এ উপজেলায় রোপা আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা রয়েছে।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে এবার মোট ১২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে বিনা-১৭, ৫১, সুগন্ধি ও স্বর্ণা-৫সহ বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধান লাগানো হয়। আগাম জাতের বিনা-১৭ জাতের ধান পেকে গেলে কৃষকরা ধান কাটার প্রস্ততি নেয়। ঠিক সেই সময় গত ৩০ অক্টোবর সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের সাথে হালকা বাতাস শুরু হয়। এতে বেশির ভাগ জমির আমন ধান গাছ পানির নিচে শুয়ে পড়ে।
তেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক নাছির মন্ডল জানান, পাকা ধান গাছ পড়ে যাওয়ায় শীষের ধান বিনষ্ট হবে। আগামী ২-৩ দিনির মধ্যে জমির পানি সরে গেলে কিছুটা ক্ষতি কম হবে। তবে বৃষ্টিপাত চলমান থাকলে পড়ে যাওয়া ধানগাছে পচন ধরে নষ্ট হয়ে বিপুল ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রবিউল ইসলাম জানান, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এই উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় ধান হেলে পানির নিচে রয়েছে। ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত না হলে পড়ে যাওয়া ধানের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন