সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম

নবীনগরে দ্বিমুখী বিতর্কে জাতীয় পার্টির নেতা মৃধা

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম

অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির নেতা মোসলেম উদ্দিন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির নেতা মোসলেম উদ্দিন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার নারায়ণপুরে আধ্যাত্মিক সাধক ছাওয়াল শাহের খেলাফতের নাম ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন মৃধার বিরুদ্ধে।

শুধু খেলাফতের ভুয়া দাবি নয়, তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়েও তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এ নিয়ে সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাওয়াল শাহের ছেলে জহিরুল আলম মিঠু।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ছাওয়াল শাহ জীবদ্দশায় কাউকে খেলাফত দিয়ে যাননি। অথচ মোসলেম উদ্দিন মৃধা নিজেকে খেলাফতপ্রাপ্ত দাবি করে পোস্টার ও ব্যানার ছাপিয়ে প্রচার চালান। প্রতি বছর ৬ জানুয়ারি ‘উরস’ আয়োজনের নামে ভক্তদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলে তা আত্মসাৎ করছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

ছাওয়াল শাহের ছেলে জহিরুল আলম মিঠু বলেন, ‘আমার বাবা কারও হাতে খেলাফত দেননি। আমি উত্তরাধিকার সূত্রে গদিনশিন। মৃধা ভুয়া দাবির মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।’

এদিকে, তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ছামছুল আলম শাহন বলেন, ‘মোসলেম উদ্দিন মৃধা আসলেই মুক্তিযোদ্ধা কি না তা আমরা নিশ্চিত নই। গেজেট প্রকাশের সময় অনৈতিকভাবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর পর থেকেই তিনি সরকারি ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন, যা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চরম অপমান।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোসলেম উদ্দিন মৃধা। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক। আমি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং তার প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে।’

এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রাজীব চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা টাঙানো রয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Link copied!