চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আবুল হোসেন সোহেল (৩৬) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে পটিয়ার ইয়াকুবদন্ডি ইউনিয়নের নয়ারহাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মহানগর গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগ।
আবুল হোসেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ইয়াকুবদন্ডি ইউনিয়নের নয়ারহাট গ্রামের বাসিন্দা।
সিএমপির ডিবি (পশ্চিম) বিভাগের একটি সূত্র জানায়, আইনজীবী সমিতির সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা শাখায় লিখিত অভিযোগ করেন।
তার দাবি, গত ১৯ মে তার ভাই জহিরুল ইসলামের মোবাইলে অপরিচিত নম্বর থেকে এক ব্যক্তি ফোন করে নিজেকে ‘চট্টগ্রাম ডিবির প্রধান’ পরিচয় দেন এবং বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন।
পরবর্তীকালে অ্যাডভোকেট ইউসুফ নিজে ওই নম্বরে কল করলে তাকেও একইভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয় এবং মামলার নাম বাদ দেওয়ার শর্তে কথিত ডিবি কর্মকর্তা বিকাশে অর্থ পাঠাতে বলেন। কয়েক ধাপে মোট ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা প্রদান করেন তিনি।
এরপর আরও অর্থ দাবির পর তিনি প্রতারণার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সরাসরি ডিবি কার্যালয়ে যান এবং লিখিত অভিযোগ করেন।
সিএমপি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা বিভাগ অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করে এবং একই ধরনের প্রতারণার শিকার আরও কয়েকজন ভুক্তভোগীর সন্ধান পায়। পরে ডিবি (পশ্চিম) বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে পটিয়ার ইয়াকুবদন্ডি ইউনিয়নের নয়ারহাট থেকে আবুল হোসেন সোহেলকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া সোহেলের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ও সিম উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রতারণার বিষয় স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তার চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে ফোন করে ডিবি পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশে টাকা আদায় করছিল।
সিএমপি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। গ্রেপ্তার সোহেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আরও তিনটি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-পশ্চিম) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান বলেন, ‘এই ধরনের প্রতারকদের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। কোনো ধরনের ভয়ভীতিতে পড়ে অপরিচিত নম্বরে অর্থ পাঠানো থেকে বিরত থাকতে হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :