গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর (ভিপি নুর) বলেছেন, ‘যারা দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের পরিণতিও হবে আওয়ামী লীগের মতো—জনগণের রায়ে তারা বিতাড়িত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পটিয়া ও আশপাশের উপজেলার যেসব ব্যাংকারকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে স্বপদে পুনর্বহাল করতে হবে। অন্যথায় গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রামের পটিয়ায় আব্দুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত গণসমাবেশে এসব কথা বলেন নুরুল হক নুর।
এতে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এমদাদুল হাসান। সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আরিফুল হক তায়েফ।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. এমদাদুল বলেন, ‘সকল স্বৈরাচারী শক্তিকে রুখে দিয়ে এই দেশকে জনগণের অধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গণঅধিকার পরিষদ সেই সংগ্রামে অগ্রভাগে থেকে লড়বে।’
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘‘আমরা আগের যুগের ‘আইয়ামে জাহিলিয়াত’-এর কথা শুনেছি, কিন্তু গতকালের ঘটনাগুলো সেই যুগকেও হার মানিয়েছে। অতীতে আমরা ফ্যাসিস্ট শাসন দেখেছি, বর্তমানে দেখছি চাঁদাবাজদের রাজত্ব। গণঅধিকার পরিষদের কেউ চাঁদাবাজি বা টেন্ডারবাজিতে জড়িত নয়। আমরা মৃত্যুকে ভয় করি না, অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সবসময় সামনে থাকি।’’
তারা বলেন, ‘দক্ষিণ চট্টগ্রামের কয়েক হাজার ব্যাংককর্মীকে কোনো পূর্বনোটিশ ছাড়া চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অন্যায়। তাদের অবিলম্বে পুনর্বহাল করতে হবে এবং যারা এই অমানবিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
তারা আরও বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কোনো টালবাহানা বরদাশত করা হবে না। প্রয়োজনে কাপনের কাপড় পরে রাস্তায় নামতে হবে। আমাদের রক্তের বিনিময়ে হলেও এই সনদ বাস্তবায়ন করতেই হবে।’
বক্তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভিপি নুরের নেতৃত্বে ৩০০ আসনে ‘ট্রাক’ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করে দেশের মাটি থেকে তাদের বিতাড়িত করতে হবে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র ফারুক হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা আবু তাহের, আবু হানিফ, জসিম উদ্দিন আকাশ, কামরুন নাহার ডলি, আব্দুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মিজান উদ্দিন আকাশ, লোকমান হোসেন, জুলাই বিপ্লবের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবু তোহা, যুব অধিকার পরিষদের নেতা সৈয়দ প্লাবন, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আকতারুজ্জামান সম্রাট, পটিয়া উপজেলা আহ্বায়ক ডা. বি. কে. দত্ত, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. আরাফাত (নবাব), ছাত্র অধিকার পরিষদের গোলাম সোবহান, মো. আকরাম হোসেন, মেহেদী হাসান সাকি, রায়হান আহমেদসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।