জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে ৩৭ সদস্যের সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আকতার হোসেন এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
আইনজীবী, ব্যবসায়ী, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে গঠিত এ কমিটিকে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের আগ পর্যন্ত তিন মাসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এনসিপি নেতারা জানিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘোষিত কমিটিতে প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়েছে মুহাম্মদ হাসান আলীকে। যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সৈয়দ ইমরান, অ্যাডভোকেট মো. মিরাজ মিয়া, সৈয়দ ইমরান, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, মাহবুবে আবেদীর, প্রফেসর ড. মহিউদ্দীন, সিফাত হোসাইন, মো. মাশফিকুর রহমান চৌধুরী মিশকাত, উম্মে হানি জেরিন, প্রকৌশলী মো. হাবিব উল্লাহ ও আবদুল্লাহ আর হাসান।
এ ছাড়া ২৬ জনকে সদস্য করা হয়েছে এ সমন্বয় কমিটিতে।
ঘোষিত কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী সৈয়দ ইমরান বলেন, ‘আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তিন মাসের জন্য এই কমিটি কাজ করবে। বিগত ১০ বছর ধরে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করার কারণে নানা হয়রানি, হুমকি ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি। কমিটি ঘোষণার পরও আওয়ামী লীগপন্থি মহল আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করছে। কিন্তু আমি পূর্বেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রমাণসহ জানিয়েছি—এগুলো সবই মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবার গত ১০ বছর ধরে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করে আসছি। শুধুমাত্র ভিন্নমতের কারণে আমাদেরকে বারবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়েছে। একের পর এক হয়রানি, হুমকি এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি আমরা। আমাদের পরিবারের সদস্যদেরও টার্গেট করে গায়েবি মামলা ও মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা মামলার মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে।’
‘এর চেয়েও দুঃখজনক বিষয় হলো—আমাদের দীর্ঘদিনের পৈতৃক বসতভিটা, যা আমরা বহু বছর ধরে ভোগদখল করে আসছিলাম, তা জোরপূর্বক দখল করে নেওয়া হয়েছে। তবুও আমরা ন্যায়ের প্রতি আস্থা হারাইনি। আমরা এখনো বিশ্বাস করি, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মতের অমিলের কারণে কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।’
‘আমরা আইনি ও গণতান্ত্রিক উপায়ে এই অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একদিন সত্যের জয় হবেই, আর জনগণই হবে চূড়ান্ত বিজয়ী।’
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দলের আস্থা ও দায়িত্বের মর্যাদা রক্ষা করে আমি সকল সহযোদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর পথচলায় কাজ করে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন