কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক উপকূলবর্তী সাগরপথে ট্রলারযোগে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৩৪০ বস্তা সিমেন্টসহ পাঁচ চোরাচালানিকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ।
আটকৃতরা হলেন- ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার মো. আরাফাত (৩০), বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার মো. ইব্রাহিম (২৬), কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মমতাজ আহমদ (৫০) এবং উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. শুক্কুর (৫০) ও মো. জোহার (৩৬)।
এ বিষয়ে লে. কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘আজ শনিবার ভোর রাতে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সংলগ্ন উপকূলবর্তী সাগরে একটি মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পায় কোস্টগার্ড সদস্যরা। সাগরে মাছ ধরার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকায় ট্রলারটি দেখে কোস্টগার্ড সদস্যদের সন্দেহ জাগে।’
‘এতে ট্রলারটিকে থামার জন্য নির্দেশ দিলে চালক দ্রুত চালিয়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে সাগরে ট্রলারটিকে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া দিয়ে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় ট্রলারে থাকা ৫ জন চোরাচালানিকে আটক করা হয়েছে।’
লে. কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ আরও বলেন, ‘ট্রলারটি তল্লাশি করে পাওয়া যায় ৩৪০ বস্তা সিমেন্ট। আটকরা জানিয়েছে, শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে সাগরে চোরাইপথে এসব সিমেন্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পাচার করছিল।’
জব্দ করা সিমেন্ট ও ট্রলার কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করে আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান কোস্টগার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা।