কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় তিনটি ফিশিং বোটসহ ১৮ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। বর্তমানে এসব বোট মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকার পাতনজা ঘাটে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
রোববার (৩১ আগস্ট) সকাল ৬টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে সাগরের ‘বাদর হাচা’ নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক হওয়া জেলেরা সবাই সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের গলাচিপা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাদের নাম হলো: আবু তাহের মাঝি, মনি উল্লাহ, রহমত উল্লাহ, আবু বক্কর, সৈয়দ উল্লাহ, রফিক, আবছার মাঝি, মো. তাহের, মতলব, হাফেজ আহমদ, মো. আমিন, সালাউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, আলমগীর মাঝি, আবদুর রহিম, মো. আলম, সাব্বির ও তৈয়ুব।
ধরে নিয়ে যাওয়া তিনটি ফিশিং বোটের মালিক যথাক্রমে আবছার, আবু তাহের ও আলমগীর—তারাও একই এলাকার বাসিন্দা।
সেন্টমার্টিন ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিজ বলেন, ‘৩১ আগস্ট সকাল ৬টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্বের ‘বাদর হাচা’ সাগর এলাকায় মাছ ধরার সময় মিয়ানমারের আরাকান আর্মির দুটি স্পিডবোট এসে তিনটি ফিশিং বোটসহ ১৮ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়া যায় ঘাটে ফিরে আসা অন্য জেলেদের কাছ থেকে।’
তিনি আরও জানান, জেলেরা ও ফিশিং বোটগুলো সেন্টমার্টিনের গলাচিপা নৌঘাটার অন্তর্ভুক্ত। বিষয়টি ইতোমধ্যে কোস্টগার্ড, বিজিবি ও পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।
চলতি আগস্ট মাসের ৫ তারিখ থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি কর্তৃক মোট ৬৯ জন জেলে অপহরণের শিকার হয়েছেন। তাদের কেউই এখন পর্যন্ত মুক্তি পাননি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন