কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজের ১৫ ঘণ্টা পর আহনাফ নামে এক কিশোর মরদেহ সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সমিতিপাড়া সৈকতে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আহনাফ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের ভাতিজা বলে জানা গেছে।
রোববার বিকেলে আহনাফ তার আরও দুই ভাইয়ের সঙ্গে লাবণী পয়েন্টে গোসলে নেমে সাগরের স্রোতে ভেসে যায় তিন জনই। সঙ্গে থাকা দুই ভাইকে লাইফ গার্ডকর্মীরা কুলে ফিরে আনেন। পরে নিখোঁজ হয় ১০ম শ্রেণির ছাত্র আহনাফ।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, লাইফগার্ড ও বিচ কর্মীরা দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি অভিযান চালায়। কিন্তু রাত পর্যন্ত তার খোঁজ না পেয়ে ভেঙে পড়েন ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমসহ তার পরিবার।
সি সেইফ লাইভগার্ডের সুপারভাইজার ওসমান গণি জানান, ‘মরদেহটি তীরের কাছে ভাসতে দেখে জেলেরা এটি কূলে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে লাইফগার্ড ও বীচ কর্মীরা গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে। তার মরদেহ হাসপাতা মর্গে রাখা হয়েছে।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদুল ইসলাম জানান, ‘বগুড়া থেকে স্বপরিবারে বেড়াতে এসেছিল আহনাফ। প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার সৈকতে ঘটে এমন দুর্ঘটনা। বারবার সতর্কবার্তা দেওয়া হলেও অসচেতনতার কারণেই বাড়ছে প্রাণহানি।’
এদিকে, গত ৭ জুলাই সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের প্যাঁচার দ্বীপের হিমছড়ির সৈকত এলাকায় সাগরে গোসলে নেমে ভেসে যাওয়া অরিত্র হাসানের সন্ধান ২ মাসেও মিলেনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন