কুমিল্লার মুরাদনগরের মা, ছেলে ও মেয়েসহ তিনজনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ২ দিন পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে নিহতের মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৬৩ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কড়ইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো. সবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬)।
বাঙ্গরা থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, শুক্রবার রাতেই সেনা সদস্যরা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন এজাহারের ১৮ ও ১৯ নম্বর আসামি। তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, এজাহারে আকবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহ, ওয়ার্ড মেম্বার বাচ্চু মিয়া, বাছির মিয়া, বক্কর মেম্বার, রবিউল আওয়াল, শাহআলম ও আনু মেম্বারসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ওই তালিকায় ৪ জন নারীর নামও রয়েছে। তারা হলেন- কারিশমা, পারুল, নার্গিস ও রহিমা বেগম।
এজাহারে পিটিয়ে ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে এলাকাবাসী একটি মোবাইল ফোন চুরি ও মাদক ‘ব্যবসার’ অভিযোগ তুলে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কড়ইবাড়ি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৮), তার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) এবং মেয়ে জোনাকি আক্তার (৩২)।