ঢাকা শনিবার, ০৯ আগস্ট, ২০২৫

ফরিদপুরে বাঁশ টাঙানো নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ২১

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৫, ১০:১১ পিএম
বোয়ালমারীতে দ ‘পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি- সংগৃহীত

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মানুষ চলাচলের সড়কে পাট শোকানোর জন্য বাঁশ টাঙানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বাজিদাদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে সাতজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে উত্তম সরকার (৩০) নামে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাজিদাদপুর গ্রামের নীতিশ কুমার বালা (৫৫) ও জগদ্বীশ কুমার বিশ্বাসের (৬০) মধ্যে বাড়ির সামনে রাস্তা-সংলগ্ন জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি কয়েক দফা সালিশ বৈঠকের পর সীমানা নির্ধারণ করে পিলার বসানো হয়।

শুক্রবার সকালে জগদ্বীশ বিশ্বাসের পক্ষের লোকজন সড়কে পাট শুকানোর জন্য বাঁশ টাঙাতে গেলে প্রতিপক্ষ নীতিশ কুমার বালার লোকজন বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের ২১ জন আহত হন।

আহতদের মধ্যে গুরুতররা হলেন—জগদীশ বিশ্বাস (৬০), জয়ন্ত বিশ্বাস (২৬), অপূর্ব বিশ্বাস (৩৫), শিবু বালা (৬০), রতন বালা (৪০) ও সুজন সরকার (২৫)। তারা বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ছাড়া ইতি বিশ্বাস (৫২), সুশান্ত বিশ্বাস (৩০), রবিন বিশ্বাস (৫০), সমীর বিশ্বাস (৪০), শুক্লা বিশ্বাস (৩৩) সহ বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা হক বলেন, ‘একটি মারামারির ঘটনায় ১৭ জন হাসপাতালে আসেন। এর মধ্যে সাতজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী শেখর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সাইদ (পান্নু) বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করি। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে সংঘর্ষ থেমে যাওয়ায় তারা ফিরে আসে। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’