জাতীয় নারী ফুটবল দলের হয়ে নান্দাইলের তিন নারী ফুটবলার মিলি আক্তার, হালিমা আক্তার ও সৌরভী আকন্দ প্রীতি বর্তমানে মিয়ানমারে অবস্থান করছেন। নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে অংশ নিতে তারা সেখানে গেছেন।
বাংলাদেশ দল এর মধ্যে বাহরাইন ও স্বাগতিক শক্তিশালী মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়ান কাপ নিশ্চিত করেছে। এই সাফল্যের পেছনে অন্যতম অবদান রাখছেন নান্দাইলের তিন ফুটবলার। বাংলাদেশ ২৯ জুন বাহরাইনকে বিধ্বস্ত করে ৭-০ গোলে। এরপর গত বুধবার ২ জুলাই শক্তিশালী স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারায় ২-১ গোলে।
তিন ফুটবলারের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ভিন্ন তিনটি ইউনিয়নে।
চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বারই গ্রামের হতদরিদ্র কলাবিক্রেতা মো.সামছুল হকের মেয়ে মিলি আক্তার। বর্তমানে জাতীয় দলের দ্বিতীয় গোলরক্ষক। ২০২২ সালের সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের পর আলোচনায় আসেন তিনি।
জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বারঘরিয়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক আবুল কালাম আকন্দের মেয়ে প্রীতি। ২০১৮ সালে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে তার নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় নান্দাইলের পাঁচরুখি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরপর অনূর্ধ্ব–১৫, ১৭, ১৯ ও সর্বশেষ জাতীয় দলে জায়গা পান। অনূর্ধ্ব–১৫ সাফে হ্যাটট্রিকসহ ৪ গোল করে তাক লাগান। ২০২৩ সালে সিঙ্গাপুরে এশিয়ান বাছাইপর্বে ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।
শেরপুর ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়া গ্রামের মেয়ে হালিমা আক্তার। বাবা দুলাল মিয়া একজন দরিদ্র মানুষ। তিন বোনের মধ্যে হালিমা দ্বিতীয়। ছোট বোন পান্নাও স্থানীয় পর্যায়ের একজন পরিচিত ফুটবলার। হালিমা ২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব–১৯ নারী ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন। এর বাইরে ভুটান, জর্ডান ও দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলেছেন।
আগামীকাল শনিবার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দল খেলবে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে। তিন নারী ফুটবলার তাদের চমৎকার নৈপুণ্য ও পারফরমেন্স দিয়ে ফুটবল খেলার মাঠ মাতাবে এমন আশা ও গর্ব নিয়ে অপেক্ষা করছে নান্দাইলবাসী।
ফুটবলের তিন রত্ন মিলি, প্রীতি ও হালিমার বাবা জানান, মেয়েদের সাফল্যে তারা গর্বিত। দেশের হয়ে ভবিষ্যৎে আরও অবদান রাখুক এটিই তাদের চাওয়া।
নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার বলেন, নান্দাইলের তিন নারী ফুটবলার মিলি, প্রীতি ও হালিমাকে নিয়ে নান্দাইলবাসী সত্যিই গর্বিত। বাংলাদেশের সাফল্যে তাদের অবদান আমাদের আনন্দ দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :