বরিশালে জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ ১০৫ নেতাকর্মীর নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত ৩১ মের ওই ঘটনার পর জাপার পক্ষ থেকে মামলা করতে গেলে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তা গ্রহণ না করায় আদালতে অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগের প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) আদালত সংশ্লিষ্ট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলাটি এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
জাপার বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল জলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ৩১ মে রাতে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা নগরীর ফকিরবাড়ি রোডে জাপার কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ঘটনার পর তারা থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। বরং উল্টো তাদের বিরুদ্ধে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা একটি মামলা করেন। পরবর্তীতে এই বিষয়টি আদালতে অভিযোগ আকারে জানানো হয়। এক মাসের মাথায় গত বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযোগপত্র থানায় পাঠানো হয়েছে। ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ডলি আদালতের আদেশ গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।
আলোচিত এই মামলায় নুর এবং রাশেদের পাশাপাশি গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল জেলা সভাপতি এইচএম শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচএম হাসান, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এবং অজ্ঞাতনামা ৭০/৮০ জনকেও আসামি করা হয়।
তবে এই মামলা সংক্রান্ত কোনো আদেশ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোতোয়ালি মডেল থানায় পৌঁছেনি বলে জানা গেছে। থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, জাপার মামলা-সংক্রান্ত আদালতের কোনো কাগজপত্র এখনও হাতে আসেনি।
জাতীয় পার্টির এই মামলা সম্পর্কে মোটেও ওয়াকিবহাল নন গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগরের নেতাকর্মীরা। মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, মামলা হলে তা আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে অপরাহ্নে বরিশাল নগরীতে জাপার একটি মিছিলে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ ওঠে। এ সময় জাপার পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলাসহ গণঅধিকারের কর্মীদের মারধর করা হয়। এতে সংক্ষুব্ধ গণঅধিকার পরিষদ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা জোটবদ্ধ হয়ে রাত ৯টার দিকে ফকিরবাড়ি রোডে জাপা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের এক নেতা জাপা চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাও করেন।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন