ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের আরবিল বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন সেনাদের আবাসস্থলে ড্রোন হামলা করা হয়েছে। তবে এটি আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাত ১০টার দিকে আরবিল বিমানবন্দরের কাছে ড্রোনটিকে নিচে নামানো করা হয়। এ ঘটনায় কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
কুর্দি বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, ড্রোনটি বিমানবন্দরের কাছাকাছি এসে পৌঁছানোর আগেই শনাক্ত ও ধ্বংস করা হয়। ওই এলাকায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জিহাদি-বিরোধী জোটের সেনারা অবস্থান করছেন।
এ ঘটনা নিয়ে এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম এএফপিকে বলেন, ‘আমরা আরবিল বিমানঘাঁটির বাইরে একটি ইউএভি থেকে বিস্ফোরণের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তবে সব মার্কিন কর্মী নিরাপদ রয়েছেন এবং ঘাঁটি বা মার্কিন সম্পদের কোনো ক্ষতি হয়নি।’
আরবিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অন্তর্বর্তী পরিচালক ডানা তোফিক জানিয়েছেন, ড্রোন হামলার কারণে কেবল একটি ফ্লাইট সামান্য বিলম্বিত হয়েছে। বর্তমানে বিমানবন্দরটি সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ।
তবে এই হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি।
গত কয়েক বছর ধরেই আরবিল বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিগুলো বারবার রকেট ও ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে আসছে। ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ঘিরে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে হামলার প্রবণতা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবারের ঘটনার আগে, ইরাকের কিরকুক বিমানবন্দরের কাছেও বিস্ফোরকবোঝাই একটি ড্রোন পড়েছিল। এরপর গত সোমবার সেখানেই দুটি রকেট আঘাত হানে।
এছাড়াও গত মঙ্গলবার সালাহেদ্দিন প্রদেশের বাইজির প্রধান তেল শোধনাগারের কাছে অন্তত একটি ড্রোন প্রতিহত করে ইরাকের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী।
গত সপ্তাহে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের তীব্র সংঘাতের অবসানের আগ মুহূর্তে বাগদাদ ও দক্ষিণ ইরাকের দুটি সামরিক ঘাঁটিতেও অজ্ঞাত ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের মধ্যে চলমান উত্তেজনার জেরে ইরাক ধীরে ধীরে আবারও একটি প্রক্সি যুদ্ধের মঞ্চে পরিণত হচ্ছে। যদিও কয়েক দশকের সংঘাত ও অস্থিরতার পর দেশটি সম্প্রতি কিছুটা স্থিতিশীলতার আভাস পাচ্ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :