সোনাগাজীতে পরকীয়ার ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে মো. সুজন (২৫) নামে এক অটোরিকশা চালককে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে স্থানীয় জনগণ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে সোনাগাজী উপজেলার জমাদার বাজার এলাকায় স্থানীয়দের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আসিফ রবিন বলেন, ‘আমরা সুজন হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। সুজন একজন নিরীহ মানুষ ছিলেন। যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে তার কোনো অপরাধ নেই। সে প্রতিবাদী ছিলেন, তার প্রতিবাদের কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই।’
চর চান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এনামুল হক বলেন, ‘পরকীয়ায় বাধা দিতে গিয়ে সুজনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা খুনিদের শাস্তি দাবি করি এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের জন্য প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ চাই।’
জেলা তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহাজাহান ফিরোজ বলেন, ‘অবৈধ প্রক্রিয়ার কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। প্রশাসন যেন দ্রুত খুনিদের ফাঁসি নিশ্চিত করে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।’
সুজনের মা রহিমা বেগম কেঁদে বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলে মারা গেছে। যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসি চাই।’
সুজনের বাবা মোঃ মোস্তফা বলেন, ‘একটি পরকীয়াকে কেন্দ্র করে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আমি চাই, যেন এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং খুনিরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়।’
মানববন্ধনে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমাম হোসেন মিসকিন, দক্ষিণ চর সাহাভিকারী প্রাচীন সমাজের সহসভাপতি বাহার মিয়া, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম রিয়াদ, বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ ২০০-এর বেশি নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রোববার রাত ১০টায় উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরসাহাভিকারী গ্রামের জমাদার বাজার সংলগ্ন রাসেলের কলোনীতে মো. সুজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় প্রধান আসামি মো. মামুন হোসেন, তার স্ত্রী আসমা আক্তার, শাশুড়ি লিপি আক্তার ও জামসেদ আলমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।


