গাইবান্ধার সাঘাটায় পুলিশের তাড়া খেয়ে পানিতে ডুবে শিবিরকর্মী সিজু মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় এসআই রাকিবুল ইসলামকে ক্লোজড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিদ্রোহ কুমার কুন্ডু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের বাসিন্দা শিবিরকর্মী সিজু মিয়াকে এসআই রাকিবুল ইসলাম টেলিফোনে সাঘাটা থানায় ডেকে নেন। বলা হয়, তার কাছে চোরাই মোবাইল পাওয়া গেছে। এ কারণে তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে সিজু মিয়া সাঘাটা থানায় ঢুকে কর্তব্যরত পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর পুলিশের তাড়া খেয়ে আত্মরক্ষার্থে তিনি একটি পুকুরে লাফিয়ে পড়েন। তাকে ধরতে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা পুকুরের চারপাশ ঘিরে রাখেন।
তখন পানিতে ভেসে থাকা অবস্থায় সিজু মিয়াকে মারধর করতে থাকেন স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সদস্যরা। একপর্যায়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের মারধরের আঘাতে সিজু মিয়া পানিতে ডুবে মারা যান।
দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশ তাকে পানি থেকে উদ্ধারের চেষ্টা না করে রাতভর পুকুর ঘিরে রাখে। পরদিন শনিবার সকালে বাধ্য হয়ে সাঘাটা থানা পুলিশ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে সিজু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে।
তখনও তার শরীর থেকে রক্ত ঝরছিল। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা সাঘাটা থানায় গিয়ে মরদেহে রক্ত দেখতে পান। তারা অভিযোগ করেন, সিজু মিয়া একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন এবং তাকে ‘পিটিয়ে হত্যা’ করা হয়েছে।
শনিবার ময়নাতদন্তের পর জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল করিমসহ শিবির নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও গাইবান্ধা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হলেও এ পর্যন্ত সাঘাটা থানার এসআই রাকিবুল ইসলামকে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :