ঈদুল আজহা উপলক্ষে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। কর্মজীবী মানুষও এরই মধ্যে রাজধানী ও শিল্পনগরী গাজীপুর ছাড়তে শুরু করেছেন।
এতে গাজীপুরের গুরুত্বপূর্ণ দুই মহাসড়ক-ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে ধীরে ধীরে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে।
তবে বুধবার (৪ জুন) দুপুর পর্যন্ত কোথাও বড় ধরনের যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
শিল্পঅধ্যুষিত গাজীপুরে রয়েছে ২ হাজার ১৭৬টি নিবন্ধিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে ১ হাজার ১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় কর্মরত কয়েক লাখ শ্রমিক ও কর্মকর্তা ঈদের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামে ফিরছেন।
ফলে গাজীপুর থেকে বের হওয়ার প্রধান পথ-ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় যাত্রীদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়ছে। মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তোলার কারণে কোথাও কোথাও যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে যানজট নিরসনে মহাসড়কে চার হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা। পুলিশের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাবের সদস্যরাও কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় মহাসড়কে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করণ এবং মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখা সংক্রান্তে এক প্রেস ব্রিফিং করেন তিনি।
মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে ঈদযাত্রা কিছুটা বিঘ্ন হলেও এবারও স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :