গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কে এম বাবরের বাসা থেকে একটি দেশীয় পাইপগান ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অভিযানের সময় বাসায় ছিলেন না বিএনপি নেতা ডা. বাবর।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) ভোর ৩টায় থানাপাড়ায় বাবরের বাসা থেকে বাথরুমের ফ্লাশ ট্যাংকের ভেতর থেকে একটি পাইপগান ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী।
যৌথ বাহিনী জানায়, কর্ডন অ্যান্ড সার্চ অপারেশনের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সেনাবাহিনীর টহলদল ছাড়াও গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন। অভিযান শেষে উদ্ধার পাইপগান ও কার্তুজ সদর থানায় জমা দেয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ‘গত রাতে বিএনপি নেতা কে এম বাবরের বাসায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে একটি পাইপগান ও একটি পরিত্যক্ত কার্তুজ উদ্ধার করে থানায় জমা দিয়েছে। এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তবে এ ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসাবে উল্লেখ করে এবং তাকে ফাঁসিয়ে শত্রুতা চরিতার্থ করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী ডা. রাবেয়া আক্তার।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবী করেন।
ডা. রাবেয়া আক্তার বলেন, তার স্বামী ডা. বাবর আলি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-২ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি স্থানীয়ভাবে বেশ জনপ্রিয় ব্যক্তি। এসব কারনে তার প্রচুর শত্রু তৈরীও হয়েছে। তার ধারনা পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসাতে এবং সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রতিপক্ষ কোন একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে।