সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মোস্তাফিজুর রহমান সুমন

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৫, ০১:৪১ এএম

ডিসেম্বর থেকে জুনে নির্বাচন ডেটলাইন নিয়ে অনড় সরকার

মোস্তাফিজুর রহমান সুমন

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৫, ০১:৪১ এএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

দায়িত্ব নিয়েই অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দিয়েছিলেন আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সংস্কার ও জুলাই হত্যাকাণ্ড ঘটনায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। একই বক্তব্য বারবার দিয়ে আসছেন প্রধান উপদেষ্টা ও তার প্রেস সচিব, এর বাইরে সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টাও একই ডেটলাইন দিয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ শনিবার (২৪ মে) ও রোববার (২৫ মে) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক এবং বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ আরও ৮ দলের সঙ্গে বৈঠকের পর ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে অনড় থাকার সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করেছে সরকার।

যদিও গত ১০ মাস ধরে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং সমমনা দলগুলো দাবি করে আসছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বিএনপি জোরালো দাবি করছে ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে হবে। রোববার (২৫ মে) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন বা প্রত্যাশা করেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই সরকার জাতীয় নির্বাচন দেবে। অন্যদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পর গঠিত ছাত্রদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দাবি করছে, নির্বাচনের আগে সংস্কার ও ছাত্র-জনতা হত্যাযজ্ঞের বিচার শেষ করতে হবে। আবার দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামী দুই ধরনের দাবি করে আসছে, সংস্কার ও বিচার যেমন চাচ্ছে, তেমনি নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে হলেও সমস্যা নেই বলছে। জামায়াত মূলত দল গোছাতে সময় নিচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত।

গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের রাজনৈতিক মাঠ বেশ সরগরম। প্রধান উপদেষ্টা পতদ্যাগ করবেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিএনপি, এনসিপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলের মাঝে দ্বন্দ্ব বা দূরত্ব প্রকাশ পায়। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন চলমান থাকাবস্থায় বিএনপিও ঢাকার মেয়র পদে ইশরাকের শপথ, দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান নেয়। এরই মধ্যে বুধবার (২১ মে) ঢাকা সেনানিবাসে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচনের তারিখ, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য কথিত করিডোর ও বিদেশি কোম্পানিকে সমুদ্রবন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে নেতিবাচক অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য দেন। এতে সরকারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে বিরোধের বিষয়গুলো আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পরদিন বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিএনপি জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় সরকার, তথ্য ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দেয়। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার ‘পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশের’ গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই সরকারের মধ্যে শুরু হয় টানাপড়েন। অস্থিরতার মধ্যে সরকারপ্রধান কাজ করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন দাবি করে পদত্যাগের চিন্তা করছেন বলে খবর আসে। পদত্যাগের চিন্তার কারণ বেরিয়ে আসে পরাজিত শক্তি, দেশি-বিদেশি চক্রান্ত, রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া সহযোগিতা না করছে না। নানা অনিশ্চয়তার মধ্যেই শনিবার (২৪ মে) বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি এবং রোববার (২৫ মে) অন্যান্য আরও ৮টি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। বিএনপিসহ সবকটি দল বৈঠকের পর বলেছেন, তারা প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাননি। দ্রুত নির্বাচন চান। সরকারও বলছে, দলগুলো সরকারের সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনে তারা সহায়তা করবে।

তিন দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর তার সারসংক্ষেপ জানাতে এসে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। দলগুলো তার অধীনেই নির্বাচন চেয়েছে। তিনি দলগুলোকে স্পষ্ট করেই বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হবে। অন্যদিকে, সরকারের দুই ‘ছাত্র’ উপদেষ্টা ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়ে বিএনপির আনুষ্ঠানিক দাবির পাশাপাশি দলগুলোর নির্বাচনের জন্য তারিখসহ রোডম্যাপ চাওয়ার কারণে সামনে নতুন সংকটের আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। আবার পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ শনিবার (২৪ মে) যে বিবৃতি দিয়েছে, সেখানেও দলগুলোকে চাপ প্রয়োগ ও হুমকি দেওয়ার সুর আছে বলেও কেউ কেউ মনে করছেন। বিবৃতিতে ‘এখতিয়ার বহির্ভূত’ শব্দগুলো উল্লেখ করা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ সেনাপ্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে করিডোর, বন্দর ও নির্বাচনের তারিখ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ আসার পর সরকার সমর্থকরা অনেকে এ শব্দগুলো ব্যবহার করে নানা প্রচার প্রচারণা করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ‘পদত্যাগ ভাবনার’ গুঞ্জনে রাজনীতিতে সংকটের ঝুঁকি তৈরি হওয়ার পর বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি তার সঙ্গে দেখা করে দায়িত্বে থাকার অনুরোধ জানালেও নিজেদের দাবিতে অনড় অবস্থান জানিয়ে এসেছে। শনিবার (২৪ মে) রাতে তিন দলের বৈঠকের সময় মুহাম্মদ ইউনূস দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি। তিনি সবার কথা ধৈর্য সহকারে শুনেছেন, তবে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। এর আগে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক বৈঠকের পর উপদেষ্টা পরিষদের ‘অনির্ধারিত’ বৈঠক শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা চলে যাবেন সে কথা বলেননি। তিনি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার কথা বলেছেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন দলের বৈঠকের দাবি-দাওয়া এবং সরকারের তরফ থেকে প্রেস সচিবের ব্রিফিংয়ের পর বোঝা যাচ্ছে, প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে। কেউ কারো অবস্থান থেকে চুল পরিমাণ সরে আসেনি। ফলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সৃষ্ট সংকটের আদৌ কোনো সমাধান হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ-সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

এদিকে চলমান রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতিতে দেশের রাজনীতিতে নতুন করে বিন্দু বিন্দু কালো মেঘ ফের জমতে শুরু করেছে। দেশের বেশির ভাগ মানুষ চায়, জুলাই ঐক্য অটুট থাকুক। মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে সেটি যেন দ্বন্দ্ব-সংঘাতে রূপ না নেয়, গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে সাধারণ মানুষ কোনোরকম দ্বিধাবিভক্তি আর দেখতে চায় না। সবার চাওয়া সর্বদলীয় বৈঠকের মধ্য দিয়ে সবার জন্য, বিশেষ করে দেশের জন্য ভালো হয় এমন সিদ্ধান্তে সবাইকে একমত হতেই হবে। এ ছাড়া নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার প্রশ্নে সব পক্ষকে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে শান্তিপূর্ণভাবে একটা সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। এত কিছুর পরও সবার মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ভর করেছে। সবার প্রশ্ন- শেষ পর্যন্ত রাজনীতির আকাশে দেখা দেওয়া দুর্যোগের এই মেঘ কাটবে তো।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে শনিবার ও রোববারের বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে। বিএনপি বলেছে, ওই সময়ের মধ্যে যে নির্বাচন হবে, সেই প্রতিশ্রুতি তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে পায়নি। সেখানে বিএনপির পক্ষ থেকে দীর্ঘ লিখিত বক্তব্যের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে দুটি দাবির কথা বলা হয়। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ। জামায়াত নির্বাচনের সঙ্গে সংস্কারের পথনকশা চাইলেও কোনো সময়ের কথা বলেনি। তবে তারা আগের মতোই নির্বাচনের আগে সংস্কারের ভাবনা জানিয়ে এসেছে। অন্যদিকে এনসিপি বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের সঙ্গে জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে এসেছে। তারা বলেছে, আওয়ামী লীগের সময়ের সব নির্বাচন আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে। রোববার (২৫ মে) ৮ দলের বৈঠকে প্রধান তিন দলের দাবি ও বক্তব্যের প্রতিফলন হয়েছে। সরকারপ্রধান মূলত এখন নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের ঘোষণার চাপে রয়েছেন।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের অনুরোধে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিতে ফ্রান্স থেকে ছুটে আসেন নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস। গত ১০ মাসে বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা হলেও ইউনূস সরকারকে বড় কোনো বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়নি। কিন্তু এখন মিয়ানমারে ‘মানবিক করিডোর’ এবং বন্দর টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে সরকারের অবস্থানের কঠোর বিরোধিতা করেছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। জাতীয় নির্বাচন, সংস্কার ও জুলাই ঘোষণা, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা নিয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই অভ্যুত্থানের পক্ষের দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য চলছে। তার আগে ‘মব’ সৃষ্টি করে বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ডাকাতির মতো ঘটনাতেও সরকার সমালোচিত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

জুলাই আন্দোলনের ঐক্য মাস কয়েক বজায় থাকলেও প্রথমে ছাত্রদের মধ্যে ফাটল দেখা দেয়। তারপর রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ ও ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেনের দূরত্ব তৈরি হয়। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে ছাত্র আন্দোলন ও তাদের জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন দল এনসিপির আত্মপ্রকাশের পর সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে মিত্র দলগুলোর মধ্যে বিভেদ স্পষ্ট হতে শুরু করে। রাজপথ দখলে নিয়ে টানা বিক্ষোভ দেখিয়ে এনসিপি যে কৌশলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি আদায় করে নিয়েছে, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন সেই একই কৌশলে মেয়র পদে বসার চেষ্টা করলে এনসিপির সঙ্গে বিরোধ বাড়তে শুরু করে। ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে শপথ পড়ানোর দাবিতে এক সপ্তাহ আগে নগর ভবনের সামনে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন তার সমর্থকরা। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের কাছে কাকরাইলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। সে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে ইশরাক স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন। অন্যদিকে ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেট প্রকাশ করায় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এনসিপি। কমিশন পুনর্গঠন দাবি করে তারা নির্বাচন ভবনের সামনে বিক্ষোভও করে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!