রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিল্লাল হোসেন, যশোর

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম

মুখ দিয়ে লিখে জিপিএ-৫ পেল যশোরের লিতুন জিরা

বিল্লাল হোসেন, যশোর

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম

লিতুন জিরা টেবিলে বসে লিখছেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

লিতুন জিরা টেবিলে বসে লিখছেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

হাত-পা ছাড়াই জন্ম হয়েছিল লিতুন জিরার। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তার অদম্য মেধা ও ইচ্ছাশক্তিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। মুখ দিয়ে লিখে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই সাহসী কিশোরী।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ফলাফল প্রকাশের পর থেকে খুশির বন্যা বইছে তার পরিবারে। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করার স্বপ্ন লালন করে চলেছেন লিতুন জিরা।

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সাতনল খানপুর গ্রামের প্রভাষক হাবিবুর রহমান ও গৃহিণী জাহানারা বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান লিতুন জিরা। ২০১৯ সালে খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন জিরা।

লিতুন জিরার মা জাহানারা বেগম জানান, জন্মের পরই দেখেন সন্তানটি দুই হাত-পা ছাড়াই পৃথিবীতে এসেছে। আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের নানা মন্তব্য আর কৌতূহল সয়ে নিয়ে মেয়েকে আগলে রেখেছেন তিনি। মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় অনেক রাত কেটেছে, কিন্তু আশা ছাড়েননি কখনও।

তিনি বলেন, ‘মেয়ের মেধা ও পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ আমাদের নতুন করে স্বপ্ন দেখিয়েছে। আজ আমি গর্বিত।’

লিতুন জিরার বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দুই হাত-পা না থাকলেও সে অসম্ভব মেধাবী। তাই তাকে স্কুলে ভর্তি করাই। সে কখনো পড়ালেখা থেকে পিছিয়ে পড়েনি। এই বছর লিতুন জিরা মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়ে বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করেছে সে।’

বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘হাত-পা ছাড়া জন্ম নেওয়া একটি শিশুর এই পর্যায়ে পৌঁছানো নিঃসন্দেহে এক অসাধারণ অর্জন। একাগ্রতা, অধ্যবসায় এবং আত্মবিশ্বাসই তার সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।’

আরেক শিক্ষক কায়ছেদ আলী বলেন, ‘সে অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থায় জন্ম নিলেও তার মেধা ও মনোবল ছিল অতুলনীয়। আমরা আগেই বিশ্বাস করতাম, সে জিপিএ-৫ পাবে।’

নেহালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘লিতুন জিরা শুধু তার শ্রেণিতে প্রথম নয়, পুরো স্কুলের গর্ব। তার এই অর্জন আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণা।’

Shera Lather
Link copied!