ভারতের উজান ও পাহাড়ি ঢলের পানি বেনাপোল সীমান্তের বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ঘিবা, সরবাংহুদা গ্রামে বাড়িঘর পানির নিচে রয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় দুই শতাধিক কাঁচা-পাকা ঘরে পানি উঠে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া ওই ইউনিয়নের ধান্যখোলা ও বোয়ালিয়া গ্রামেও পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যদি দুই-একদিন টানা বর্ষণ হয়, তবে কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
ওই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে পানির প্রভাব দেখা গেছে। সর্বাংহুদা গ্রামে বাচ্চারা ডিঙ্গি নৌকায় যাতায়াত করছেন। গ্রামের প্রাইমারি স্কুলসহ প্রায় ১৫০টি কাঁচা ও পাকা ঘর এবং রঘুনাথপুর, ঘিবা, ধান্যখোলা, বোয়ালিয়াসহ আরও কয়েকটি গ্রামের শত শত ঘরবাড়ি পানিবন্দী হয়ে আছে। তারা দেড় মাস ধরে অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছেন।
সর্বাংহুদা গ্রামের ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি জিয়াউর রহমান জানান, ‘ভারি বর্ষা ও ভারতীয় পানি প্রবাহের কারণে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে সর্বাংহুদা গ্রামসহ কয়েকটি গ্রাম বন্যায় কবলিত মানুষেরা এখনো কোনো সরকারি অনুদান পাননি।’
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. কাজী নাজিব হাসান জানান, ‘সর্বাংহুদা, রঘুনাথপুর ও ঘিবা এলাকার মানুষ প্রতিবছরই ভারতীয় উজানের পানির ঢলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। উপজেলার পক্ষ থেকে আপাতত ১৬ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে এই চাল বিতরণ করা হয়েছে। বন্যা কবলিত অসহায় মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রে পানিবন্দি পরিবারের মাঝে শুকনো ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, চিনি, তেল, লবণ, মশলাসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ না থাকায় সবকিছু দেওয়া সম্ভব হয়নি। পর্যায়ক্রমে সব ইউনিয়নে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে, যাতে বন্যায় কবলিত কোনো পরিবার বঞ্চিত না হয়।’
এদিকে, স্কুলে পানি ওঠায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারছে না। এ ছাড়া দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষাও তারা দিতে পারছেন না। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিকল্প ব্যবস্থা না নিলে ছেলে-মেয়েরা শিক্ষা থেকে পিছিয়ে যাবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন