মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম

চৌগাছায় বরখাস্ত হওয়া সুপারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম

চৌগাছায় দিঘড়ী দাখিল মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া সুপার শাহানাজ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চৌগাছায় দিঘড়ী দাখিল মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া সুপার শাহানাজ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

যশোরের চৌগাছায় দিঘড়ী দাখিল মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া সুপার শাহানাজের বিরুদ্ধে ফের জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এলাকাবাসী তার জালিয়াতির সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুপার শাহানাজ পারভীন বরখাস্ত হওয়ার পর মাদ্রাসাটির সহ-সুপার মাওলানা মাছুদ রানাকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৫ আগস্টের পর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানকে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি করা হয়।

সুপার শাহানাজ স্বপদে ফিরতে সভাপতিকে নানাভাবে চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুপারের অনৈতিক দাবি পূরণ না করায় পদত্যাগ করেন। পরে নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা মাছুদ রানাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বদলি হয়ে অন্যত্র গেলে শাহানাজ পারভীন জাল-জালিয়াতি করে একটি ভুয়া কমিটি গঠন করে নিজের বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার এবং বন্ধ থাকা বেতন চালু করে স্বপদে ফিরে যান।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সুপার শাহানাজ পারভীনের বিচারের দাবি করেন।

সুপার শাহানাজ পারভীন মাদ্রাসায় যোগদানের পর নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। তিনি অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, লুটপাট, মাদ্রাসার বিভিন্ন ফান্ড থেকে অর্থ তসরুপ, সরকারের দেওয়া কম্পিউটার ল্যাব আত্মসাৎ, জালিয়াতি করে বিভিন্ন পদে নিয়োগ বানিজ্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে অসৌজন্য আচরণ, শিক্ষার্থীদের নিকট অতিরিক্ত ফি আদায় ও রাজনৈতিক দাপট প্রদর্শন করেন। তার এসব কর্মকাণ্ডের কারণে প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে।

এলাকাবাসী সুপার শাহানাজ পারভীনকে অপসারণের দাবিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন ও বিভিন্ন বিক্ষোভ আয়োজন করেন। আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা তাকে বরখাস্ত করেন। এরপর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, যার প্রধান ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান এবং সদস্যরা ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ও উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।

মাদ্রাসাটির প্রাক্তন ছাত্র শেখ ফরিদ উদ্দীন বলেন, ‘সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী বারবার সুপার শাহানাজ পারভীনের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছেন। তারা মিছিল ও মানববন্ধনও আয়োজন করেন।’

অভিযোগকারী দিঘড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও মাদ্রাসাটির দাতা সদস্যরা জানান, ‘আমরা এলাকাবাসীর পক্ষে সুপার শাহানাজ পারভীনকে অপসারণের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমাদের দাবি মানা না হলে বড় কর্মসূচি নেওয়া হবে।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম বজলুর রহমান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসমিন জাহান বলেন, ‘এলাকাবাসীর দেওয়া লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Link copied!