ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা লঞ্চঘাট-ভায়া-ফেরিঘাট সড়কে থানার খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হয় দুই বছর আগে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেতুর উভয় পাশের সংযোগ সড়কের (এপ্রোচ) কাজ শেষ না হওয়ায় সেতুটি কার্যত কোনো কাজে আসছে না। এতে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ কমছে না; দুই বছর ধরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নলছিটি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২ মে আইবিআরপি প্রকল্পের আওতায় থানার খালের ওপর ৩১ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৪৬ লাখ ৩ হাজার ৩১৯ টাকা। এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ২০২৩ সালের ৬ মার্চ নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়।
প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় মেসার্স শান্ত এন্টার প্রাইজকে। সেতুর মূল কাঠামোর কাজ শেষ হলেও এখনো সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাঠের তৈরি মই বেয়ে সেতুতে ওঠা–নামা করতে হচ্ছে। এতে এলাকার মানুষ নিত্যদিন দুর্ভোগে পড়ছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ-বয়স্ক মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা অনিয়ম করেছে। সেতু নির্মাণের পর দুই পাশে গোড়ায় কোনো মাটি ভরাট করা হয়নি। ফলে সেতুটি এখন এলাকাবাসীর কাছে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল রাজ্জাক বলেন, ‘সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি আমাদের কোনো কাজে আসছে না। মই দিয়ে সাঁকো বানিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন সেতু পার হতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক কারাগারে থাকায় তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নলছিটি উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক বলেন, ‘সেতুর পাশে যাদের জমি রয়েছে তারা মাটি ভরাটে অসহযোগিতা করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংযোগ সড়কের কাজ করেনি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।’


