জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে কওমি মাদ্রাসায় পড়ুয়া ১২ বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের (বলাৎকার) অভিযোগে আল-আমিন (২২) নামের মাদ্রাসা শিক্ষককে স্থানীয়রা আটক করে শহরের প্রধান সড়কে নাকে খত দিয়ে মারপিট করেছে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনা শুক্রবার রাতে আক্কেলপুর-বদলগাছী সড়কের আক্কেলপুর দারুল কোরআন পৌর কওমি মাদ্রাসায় ঘটে। শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত শিক্ষক পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছে ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ১ ডিসেম্বর শিক্ষক তাকে কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন (বলাৎকার) করেন। পরবর্তী সময়ে শিশুটি বাসায় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে মনভার করে বসে থাকেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে মা-কে জানান। রাতে শিশুর পরিবার এলাকার কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অস্বীকার করেন।
খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে আটক করে শহরের প্রধান সড়কে নাকে খত দিয়ে মারপিট করে এবং পরে থানায় খবর দেয়।
শিশুটির মা বলেন, আমার ছেলেকে হাফেজ হওয়ার জন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করেছি। ওই শিক্ষক কয়েকদিন আগে যে খারাপ কাজ করেছে, তা ছেলে বাসায় এসে কান্না করতে করতে আমাকে জানিয়েছে। আমি কুলাঙ্গার শিক্ষকের যথাযথ বিচার চাই।
অভিযুক্ত শিক্ষক আল-আমিন ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন, আমি শয়তানের প্রলোভনে পড়ে ছাত্রের সাথে কু-কর্ম করেছি।
আক্কেলপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম শনিবার দুপুর রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ১২ বছরের শিশুকে যৌন নিপীড়নের (বলাৎকার) অভিযোগে স্থানীয়রা তাকে আটকে রেখে আমাদের খবর দিলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। ওই শিক্ষক ঘটনাটি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে জয়পুরহাট জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন