খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন গুইমারা উপজেলা ও সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। গুইমারায় এই আদেশ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন আক্তা।
জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অবরোধ কর্মসূচির সময় গুইমারার যৌথখামার ও বাইল্যাছড়ি এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর আগে দুপুর ২টা থেকে খাগড়াছড়ি সদর ও পৌর এলাকায়ও ১৪৪ ধারা কার্যকর করা হয়।
খাগড়াছড়ি শহরের মহাজনপাড়া থেকে নারিকেলবাগান এলাকায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়েক রাউন্ড গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সদর উপজেলার নারানখাইয়া থেকে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষে আহত হয়ে এ পর্যন্ত ১২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ইয়ামিন (২২) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আহতদের মধ্যে আরও রয়েছেন মেহেদী (২৮), পলাশ (৩০), হারিজ (১৬), মো. ইউসুফ (২২), আরমান হোসেন (১৮), রাজু (৩০), রাখাল নাথ (৪৫), বাবুল (৩০), জামাল হোসেন (৩৫), হাসান (৩৫) ও আসিফ (২২)। আহতদের বেশিরভাগের কাঁচ ভাঙার আঘাত, গুলতির চিহ্ন এবং বাঁশের আঘাত রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান।
উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির খাগড়াছড়ি জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরান কবির উদ্দিন জানান, বর্তমানে স্বনির্ভর বাজার থেকে উপজেলা পর্যন্ত এলাকা বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল সকলকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।