ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

খাগড়াছড়ির ঘটনায় ‘ধর্ষণের আলামত মেলেনি’: চিকিৎসক

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরী দলবদ্ধ ‘ধর্ষণের’ শিকার হয়েছে বলে অভিযোগের স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রতিবেদনে ‘ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি’, জানিয়েছেন পরীক্ষার নেতৃত্ব দেওয়া চিকিৎসক।

খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জয়া চাকমা বলেন, ‘পরীক্ষার ফলাফলে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। সবধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি এবং মেডিকেল রিপোর্টে তা জমা দেওয়া হয়েছে।’

এই স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘আমাদের দলে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মোশারফ হোসেন ও ডা. নাহিদা আক্তারও ছিলেন।’

স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনের কপিতে দেখা গেছে, ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার ১০টি সূচকের প্রতিটিতে ‘স্বাভাবিক’ উল্লেখ রয়েছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর মারমা এক স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ‘ধর্ষণে’র অভিযোগে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরদিন ভোরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এই ঘটনায় খাগড়াছড়িতে ব্যাপক বিক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা একসময় সহিংসতায় রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় এবং অতিরিক্ত সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এরপরও উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি।

গত রোববার ১৪৪ ধারা চলাকালেই গুইমারায় ব্যাপক সহিংসতা ঘটে, যেখানে গুলিতে তিনজন নিহত হন।

মঙ্গলবার গুইমারার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, সহিংসতার ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ দিন ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাপূজার অষ্টমীতে পরিদর্শনে এসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘শারদীয় দুর্গোৎসব যেন শান্তিপূর্ণভাবে না হয়, সে লক্ষ্যে কিছু মহল খাগড়াছড়িতে সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী চেষ্টা করেছিল পূজার পরিবেশ নষ্ট করতে। তবে তাদের কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা হয়েছে। এসব সন্ত্রাসীদের মদদদাতারা দেশের বাইরে থেকে operates করছে।’

খাগড়াছড়ির ধর্ষণ ও সহিংসতা-সংক্রান্ত ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার কথাও জানান তিনি।