ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫

ভিজিডি কার্ড দেওয়ার নামে টাকা নিতেন ইউপি সদস্য

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
ইউপি সদস্য মো. হাসানুর রহমান। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হাসানুর রহমান সম্প্রতি ভিজিডি (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) কার্ড দেওয়ার কথা বলে নেওয়া অর্থ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফেরত দিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমাদী ইউনিয়নের খিরোল গ্রামের হতদরিদ্র নারীরা চলতি বছরে ভিজিডি কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন তরিকুলের স্ত্রী আছিয়া খাতুন, আরশাদুলের স্ত্রী রোজিনা খাতুন এবং আ. আহাদ সরদারের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন।

অভিযোগ অনুযায়ী, ইউপি সদস্য হাসানুর রহমান তাদের কাছ থেকে ভিজিডি কার্ড পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন।

দুই-তিন মাস পর হঠাৎ করে হাসানুর রহমান ওইসব নারীর বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরত দিয়ে জানান, ‘তোমাদের কার্ড হবে না।’ এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় স্থানীয়রা এবং বিষয়টি নিয়ে পুরো গ্রামে আলোচনা শুরু হয়।

ভুক্তভোগী রোজিনা খাতুন বলেন, ‘আমাদের পরিবারের ৫ জন সদস্য। আমার স্বামী চোখে ভালো দেখতে পান না। মেম্বার সাহেবের কথায় ভিজিডি কার্ডের জন্য আবেদন করি। তিনি টাকা চাইলে আমি সুদে টাকা এনে ৩ হাজার টাকা দিই। ৩ মাস পর এসে হঠাৎ সেই টাকা ফেরত দিয়ে জানালেন, কার্ড হবে না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মো. হাসানুর রহমান বলেন, ‘ওনারা আমার বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীর হাতে টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন। পরে আমি সেই টাকা নিজে গিয়ে ফেরত দিয়ে এসেছি।’

কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল বাকী বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’