একটানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কিশোরগঞ্জের ঘোরাউত্রা, ধনু নদীসহ হাওরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে হাওরের গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাটগুলোর সংযোগ সড়ক।
ফলে বন্ধ হয়ে গেছে করিমগঞ্জ, মিঠামইন ও ইটনার অন্তত পাঁচটি ঘাটের ফেরি চলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাওরবাসী।
সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তর জানায়, করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখোলা ও চামড়াঘাট, মিঠামইনের শান্তিপুর, ইটনার বড়িবাড়ি ও বলদা ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
ফেরি বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকায় নদী পার হচ্ছেন। কেউ কেউ হাঁটু পানি মাড়িয়ে পার হচ্ছেন তলিয়ে যাওয়া সড়ক।
ইটনা উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, আগে সহজেই ফেরি দিয়ে নদী পার হয়ে গাড়িতে করে শহরে যেতে পারতাম। এখন সড়ক ডুবে যাওয়ায় নৌকায় করে কষ্ট করে যেতে হচ্ছে।
মিঠামইনের সদর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মাফিজুল ইসলাম মাহফুজ জানান, মিঠামইন থেকে বালিখোলা যেতে এক ঘণ্টা লাগত। এখন নদীপথে যেতে দ্বিগুন সময় লাগছে। মালামাল পরিবহনেও সমস্যা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল রূপালী বাংলাদেশকে জানান, বৃষ্টিপাত ও উজানের পানির ঢলে ঘাটের রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন রূপালী বাংলাদেশকে জানান, হাওরাঞ্চলের নদ-নদীগুলোর পানি প্রতিদিনই বাড়ছে। তবে এখনো কোনো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।