চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, ‘জুলাইয়ে মায়েদের সেই ত্যাগ, সহযোগিতা, অবদান কখনোই ভুলা সম্ভব না।’
শনিবার (২ আগস্ট) সকালে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসসমূহ পালন উপলক্ষে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে ‘জুলাইয়ের মায়েরা’ শীর্ষক সমাবেশ ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনা সভার শুরুতে ‘মাদার’স অফ জুলাই’ শীর্ষক ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা তপন বেপারী। ডকুমেন্টারি দেখে পুরো অনুষ্ঠানস্থলের সকলে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। যেখানে জুলাইয়ের মায়েদের স্মৃতিবিজড়িত কথাগুলো ফুটে উঠে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মায়েদের সম্মোহনী ক্ষমতা রয়েছে। মায়েরা যদি সন্তানদের রাস্তায় যেতে না দিতো তাহলে আপনারা আন্দোলনে যেতে পারতেন না। মায়েরা সন্তানের কথা চিন্তা করেন ঠিকই তারাই আবার দেশের জন্যেও চিন্তা করেছেন। যার কারণে অনেক মায়েরাই আন্দোলনে যেতে সন্তানদের সহায়তা করেছেন। মায়ের সেই ত্যাগ, সহযোগিতা, সেই অবদান কখনোই ভুলা সম্ভব না। মায়েরা সন্তানদের আন্দোলনে অংশগ্রহণের প্রেরণা দিয়েছেন তাদেরকে সালাম দেয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘আজকের মেয়েরা নিরাপদের থাকবে এটাই আমাদের বাংলাদেশ। মেয়েরা যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুলিং না হয়, তারা যেন রাস্তায় নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে সেজন্যে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান তিনি।’
আমন্ত্রিত অতিথিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলার সেক্রেটারি অ্যাড. মো. শাহাজাহান মিয়া, জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. কোহিনুর বেগম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সুচিত্র রঞ্জন দাসসহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, জুলাই মায়েরা ও সম্মুখ যোদ্ধারা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রোকেয়া খাতুনের সঞ্চালনায় জুলাই মায়েদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন সম্মুখসারীর যোদ্ধা শিক্ষার্থী নাজমুন্নাহার, সানজিদা আক্তার সাঞ্জু ও মরিয়ম মাহী।