রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম

কিশোরগঞ্জে জজকোর্টের গাড়িচালকের বিরুদ্ধে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম

সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী পরিবার। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী পরিবার। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জে জজ কোর্টের এক গাড়িচালকের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পুকুরের মাছ চুরি, মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ এনে প্রতিকার চেয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।

রোববার (২৫ মে) দুপুরে সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের মুসলিম পাড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

অভিযুক্ত ব্যক্তি মুসলিম পাড়া এলাকার আব্দুল হামিদ খন্দকারের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম।  

তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের গাড়িচালক।      

                                       

অভিযোগ করে একই এলাকার মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে খায়রুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত তার সৎ-মামা। তার সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিভিন্ন সময় সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেও সমাধান হয়নি। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় গত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন সময় অত্যাচার নির্যাতন করেছেন।

তিনি বলেন, ‘শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি জেলা জজকোর্টের গাড়িচালক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হবে না এবং আদালতে গেলে আমরা সঠিক বিচার পাবো না বলে হুমকি দেয়। বিভিন্ন সময় থানায় ও কোর্টে অভিযোগ করা হলেও কোনো বিচার পাইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তার কারণে ৫-৬ বছর বাড়িছাড়া ছিলাম। বাড়িতে আসতে পারিনি। ঘর করার জন্য ইট কিনে রাখলেও কাজ শুরু করা হলে স্থানীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার করে আমাদের মারধর করে।’

‘বাড়ির সঙ্গে পুকুরের জায়গাটা আমার নানি আমাকে দান করে গিয়েছেন। সেই জায়গাটা জোরপূর্বক দখল করার জন্য আমাদের ওপর অত্যাচার করে। সে জজ কোর্টের গাড়িচালক হওয়ায় সেই সুবাদে তার স্ত্রী মোছা. সরুফা খাতুনকে দিয়ে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। মামলার চাপে অসহায়ের মতো পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’  
 
খায়রুল ইসলামের মা মোছা. সালেহা বেগম বলেন, ‘আমার মা হাছেন বানু জীবিত থাকা অবস্থায় খায়রুল ইসলামকে আরএস ৭৬৮ নং দাগের বাড়ি থেকে ১৪.৬৬ শতাংশ এবং ৭৭৩ নং দাগে ৩.৩৩ শতাংশ দুই দাগে ১৮ শতাংশ জমি খায়রুল ইসলামকে লিখে দেন। এরপর থেকে খায়রুল ইসলাম নিজ নামে নামজারিসহ বছর বছর হালনাগাদ করে ভোগদখল করে আসছে। এ অবস্থায় ২০২৪ সালের জুন মাসে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে যায় সাইফুল ইসলাম ও তার লোকজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলের দখলে থাকা পুকুর দখল করে কাঁটাতারের বেড়া দেয়। এতেও ক্ষান্ত হয়নি সাইফুল ইসলাম। গত এপ্রিল মাসের ১২ তারিখ ভোরে জোরপূর্বক পুকুরের সব মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। এতে বাধা দিতে আসলে হত্যার হুমকি দেয়। আমি এই নির্যাতনের বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!