ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও আশপাশের এলাকায় প্রায় ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) ভোর থেকে এই যানজট শুরু হয় এবং সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, নরসিংদীর রায়পুরার বারৈচা থেকে ভৈরবের জগন্নাথপুর পর্যন্ত মহাসড়কে থেমে থেমে গাড়ি চলছে। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০.৫৮ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে ধীরগতিতে চলায় এই সংকট দেখা দিয়েছে।
২০১৭ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটির কাজ ২০২৫ সালেও শেষ হয়নি। মাঝেমধ্যে কাজ পুরোপুরি বন্ধ থাকায়, সড়কে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, যা যানবাহনের গতির বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিলেটগামী মিতালী বাসের এক যাত্রী বলেন, ‘ভোরে ঢাকা থেকে সিলেট রওনা হয়েছি, এখনো ভৈরব টোল পার হতে পারিনি। কবে সিলেটে পৌঁছাবো, জানি না।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সিলেটগামী ট্রাকচালক কাজিম আলী বলেন, ‘দেড় ঘণ্টা ধরে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। দশ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে চার ঘণ্টা লেগেছে। বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।’
ভৈরব প্রান্তের টোল সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বিল্লাল বলেন, ‘সড়কে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ব্রিজের ওপর অতিরিক্ত গাড়ি উঠলে স্প্রিংয়ে সমস্যা হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে গাড়ি ছাড়া হচ্ছে।’
ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ সাহবুর রহমান বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে সড়ক আরও খারাপ হয়েছে। অনেক ছোট-বড় যানবাহন নিয়ম না মেনে চলায় যানজট আরও বেড়েছে। আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত চার লেনের কাজ দ্রুত শেষ না হলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে না।’
এই দীর্ঘ যানজট শুধু যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তিই নয়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থাকেও চরমভাবে ব্যাহত করছে। সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।