ঢাকা সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

‘যে পুলিশ শিক্ষকের দাড়ি ধরে টান দেয় তাদের সন্তানদের আমরা পড়াব না’

মাহফুজার রহমান মাহফুজ, ফুলবাড়ী
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম
ঢাকায় শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাজধানীতে শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর নির্যাতন ও হামলার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ২টায় ফুলবাড়ী উপজেলার এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করে। সমাবেশে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যে পুলিশ শিক্ষকের দাড়ি ধরে টান দেয় তাদের সন্তানদের আমরা পড়াব না।’ 

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, ‘আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষক-কর্মচারীগণ রাজধানীতে সমাবেশ করেন। আমাদের শান্তিপূর্ণ সেই সমাবেশে পুলিশ ন্যক্কারজনক হামলা করেছে। এই হামলা কার ইন্ধনে হয়েছে খুঁজে বের করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আর আমাদের ন্যায্য দাবি দ্রুত মেনে নিতে হবে। আমরা শিক্ষকরা কারও করুণায় নয়, আমরা আমাদের অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাই। প্রাপ্ত সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ কর্মবিরতি চলবে।’

বক্তরা দ্রুত সময়ে দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন।

সমাবেশের আগে উপজেলার সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর অংশগ্রহণে কাছারি মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বড়ভিটা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আরাবুর রহমান পাশার  সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন: ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম রিজু, পশ্চিম ফুলমতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমান, ফুলবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম, ভাঙ্গামোড় দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইসমাইল হোসেন, কুটিবাড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক সেকেন্দার আলী, কুটিবাড়ি মডার্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মইনুদ্দিন সেলিম, কাশিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রমিজুল হক, অনন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জালাল উদ্দিন, বড়লই উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জালাল হোসেন।