লক্ষ্মীপুরে ডাকাতি হওয়া ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকারসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (ক্রামই এন্ড অপস) হাসান মোস্তফা স্বপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল করিম ও চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বেলাল হোসেন, আবুল কালাম, সাইদুল হক আরিফ মো. লিটন ও মো. হৃদয়। তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতের সোপর্দ করা হয়েছে। তারা আদালতে ডাকাতির ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
গ্রেপ্তার বেলাল হাজিরপাড়া ইউনিয়নের রতনেরখিল গ্রামের সফি উল্যাহর ছেলে, কালাম রামগতি চর কলাকোপা গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে, আরিফ নোয়াখালীর সুধারাম থানার পশ্চিম নিরঞ্জনপুর মজিবুল হকের ছেলে, লিটন মান্দারী ইউনিয়নের দক্ষিণ মান্দারী গ্রামের মনছুর আহাম্মদের ছেলে ও হৃদয় হাজিরপাড়া ইউনিয়নের চরচামিতা গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে বেলালের বিরুদ্ধেই ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ৩০ ডিসেম্বর হাজিরপাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামে আহম্মদ মিয়ার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নিয়ে ৪ জানুয়ারি আহম্মদ বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারী ও তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যমে ৮ জানুয়ারি মো. লিটন ও মো. হৃদয় নামে জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী অনুযায়ী ১২ জানুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিয়ার বাজার এলাকা থেকে বেলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে মিয়ার বাজারের একটি জুয়েলার্স দোকান থেকে ডাকাতি করা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। একইভাবে অপর দুই আসামি আরিফকে নোয়াখালীর মাইজদী ও কালামকে রামগতির আজাদনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকারের মধ্যে ১ জোড়া রিং ঝুমকা, একজোড়া ছোট দুল, একজোড়া কলেজরিং ঝুমকা, একপিস নথ ও একটি পার্টি চেইন।
