লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নে সরকারি খালের ওপর টক্কাপুল স্লুইসগেট বন্ধ থাকায় বিকল হয়ে পড়েছে। এতে তীব্র স্রোত থাকলেও পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পানির স্রোতে ভেঙে গেছে খালপাড়ের আশপাশের চলাচলের রাস্তা। এতে বর্ষা এলেই দুর্ভোগের শিকার হয় ৪ গ্রামের হাজারো পরিবার। ১৮ বছর ধরে এ সংকট চললেও নিরসনে এলজিইডি উদ্যোগ নেয়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানায়, ২০০৬ সালে স্লুইসগেট নির্মাণের পর বোরো মৌসুমে পানি সংগ্রহের লক্ষ্যে ৫টির মধ্যে ৪টি গেট বন্ধ রাখা হয়। পরের বছরই গেটগুলো খুলে দেওয়ার দাবি ওঠে। এরপর থেকে ওই গেটগুলো আর খোলা হয়নি। সংস্কার করাও হয়নি। গেটগুলোর লক না খোলায় বিকল হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ৭ দিনের সময় নিলেও কোনো কাজ হয়নি।
স্থানীয়রা সোমবার (১১ আগস্ট) স্লুইসগেট চালুর দাবিতে সদর উপজেলার তিতারকান্দি গ্রামের টক্কাপুল ব্রিজ এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনও করে। রামপুর ব্লাড ব্যাংক, তিতারকান্দি ব্লাড ডোনার্স ক্লাব, পিসফুল তিতাকান্দি টিম, পূর্ব তিতারকান্দি ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন, নবদিগন্ত সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা সংস্কার ও খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানান অংশগ্রহণকারীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির নাজমুল ইসলাম শামীম, চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খসরুল আলম মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আবু বকর সিদ্দিক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নুরুল আলম, স্থানীয় বাসিন্দা কাউছার হামিদ, মাহবুবুর রহমান ও কাজী রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
খসরুল আলম মাহমুদ বলেন, কচুয়া প্রজেক্টে এলজিইডির মাধ্যমে স্লুইসগেটটি নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে স্লুইসগেটটি আর সংস্কার করা হয়নি। তবে কিছুদিন পূর্বে একটি প্রজেক্ট দিলেও কোন কাজ করা হয়নি। সম্প্রতি নোয়াখালীর প্রশাসন আমাদের গ্রামের একটি রাস্তা কেটে দিয়েছে। যার কারণে আমাদের এলাকায় অর্ধশতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
নাজমুল ইসলাম শামীম বলেন, খালের ওপর অনেকগুলো ছোট কালভার্ট আছে। এতে পানিপ্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ সংকট নিরসনে প্রশাসনকে দ্রুত উদ্যাগ নিতে হবে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়নবোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ-জামান খান বলেন, ওই রেগুলেটরটি এলজিইডির। গেল বছর আমি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে রেগুলেটরি সংস্কার করে দিতে বলেছিলাম। কেন করা হয়নি, তা জানা নেই।
এ বিষয়ে জানতে লক্ষ্মীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী ইকরামুল হককে ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন