উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ উড়িষ্যার উপকূলের কাছে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, এর প্রভাবে চারটি সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে হবে।
লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে এবং এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্য বিরাজ করছে। এতে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত এবং নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্তত ১২টি জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা বা সাময়িক প্লাবনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বুধবার (১৩ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে পূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজবাড়ী, ফরিদপুর, পাবনা, মানিকগঞ্জ, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকা জেলার নদীসংলগ্ন এলাকায় সাময়িক প্লাবনের সম্ভাবনা রয়েছে।
পাউবো জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গসহ রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এ ছাড়াও আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম, মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশেও ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
পাউবো আরও জানিয়েছে, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি আগামী তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন