রবিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫, ০৮:০৬ পিএম

বিপৎসীমা ছাড়াল তিস্তা, নিরাপদ স্থানে যেতে মাইকিং

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫, ০৮:০৬ পিএম

বিপৎসীমা ছাড়াল তিস্তা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বিপৎসীমা ছাড়াল তিস্তা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

উজানের পাহাড়ি ঢল আর কয়েক দিনের ভারি বর্ষণের ফলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বাম তীরের জেলা লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আগামীকাল সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

আজ রোববার (০৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৫ মিটার, যা বিপৎসীমার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার) ১০ সেন্টিমিটার ওপরে। তিস্তার পানি বিপৎসীমায় তাই রেড অ্যালার্ট জারি করে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে যেতে মাইকিং করেছে পাউবো।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত দুই দিনের ভােরি বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। আজ সকাল থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে ৭০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। বেলা ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে; যা ক্রমেই বাড়ছে। ফলে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে মৎস্য খামার, আমন ধানসহ নানান জাতের সবজির খেত। ডুবে গেছে চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট। নৌকায় যোগাযোগ করছে চরাঞ্চলের মানুষ।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ। আজ বেলা ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

তবে আগামী ১২ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ উত্তরের বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

হাতীবান্ধার সিন্দুর্না এলাকার রইচ উদ্দিন বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে পানি বাড়ছে নদীতে। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু বাড়ি পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্রমে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। বন্যার আশঙ্কায় রয়েছি।’

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্ধন গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, ‘নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। অনেকের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, ডুবে গেছে আমন ধানের খেত। সময় যত যাচ্ছে, ততই বাড়ছে পানি। বন্যার আতঙ্কে রয়েছি।’

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষদের সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার বলেন, ‘ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। আগামী ১২ ঘণ্টা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এতে নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। পরিস্থিতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’

নদীপাড়ের বাসিন্দাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে আহ্বান জানান তিনি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!