ঢাকা শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

নানা সংকটে জর্জরিত কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ।

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নানা সংকটে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। ৩৫ জন চিকিৎসকের জায়গায় বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১২ জন। এর মধ্যে অনেকেই অফিস সময়ে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন, ফলে গুরুতর রোগীদের প্রায়ই বরিশাল, ঢাকা ও ফরিদপুরে পাঠাতে হচ্ছে।

জানা যায়, ১৯৭৬ সালে ঝাউতলা ও পাঙ্গাশিয়া মৌজায় ৬ একর ৯৬ শতাংশ জমিতে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নির্মিত হয়। পরবর্তীতে ২০১০ সালে শয্যা ৫০ করা হলেও চিকিৎসাসেবার মানের উন্নতি হয়নি। মেডিক্যাল অফিসারের ২৪ পদের মধ্যে ১৩ জন এবং কনসালটেন্ট পদের ১১টির মধ্যে ৭টি শূন্য। সবমিলিয়ে এখানে পোস্টিং থাকা ১৭ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৫ জন অন্যত্র সংযুক্ত থাকায় হাসপাতালটি ১২ জন চিকিৎসক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।

রোগীরা অভিযোগ করছেন, এক্স-রে, আল্ট্রাসনোসহ যন্ত্রপাতি থাকলেও পরীক্ষার জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ২৪ জনের স্থানে আছেন মাত্র ১০ জন, যার ফলে হাসপাতালটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে ময়লা ও দুর্গন্ধে ভরা। তাছাড়া রোগীদের জন্য খাবারের মানও নিচে।

এক্স-রে টেকনিশিয়ান এসএম সোহেল রেজা ও প্যাথলজিস্ট কাওসার আলম জানান, তাদের সমস্যা ও সংকট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। খাবার সরবরাহকারী মোঃ জসিম হোসেন জানান, বাজারদরের তুলনায় বর্তমান টেন্ডারের মূল্য কম হওয়ায় ভালো খাবার সরবরাহ করতে হিমশিম করছেন।

কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ কে এম শিবলী রহমান স্বীকার করেছেন, ‘৩১ শয্যার হাসপাতাল ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও প্রয়োজনীয় জনবল এখনও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ৩৫ জন চিকিৎসকের স্থলে ১২ জন এবং ২৪ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর স্থলে ১০ জন দিয়ে হাসপাতালটি চলছে। অফিস সময়ে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় একজন চিকিৎসকের বেতন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে যদি আরও কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাই, তবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’