মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে জুমার খুতবায় মাদকের কুফল ও ইসলামে এর শাস্তি নিয়ে আলোচনা করায় মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৯ জুন) তাদের আটক করে হরিরামপুর থানা পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর সুলতানপুর গ্রামের মধ্যপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মিরাজুল ইসলাম মানিকগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে এবং পরে হরিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিক্তিতে দুজনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- সুলতানপুর মধ্যপাড়া এলাকার মো. জুলহাস (২২) ও রায়হান (১৯)।
জানা গেছে, ফরিদপুরের বাসিন্দা মুফতি মিরাজুল ইসলাম আট মাস আগে সুলতানপুরের মধ্যপাড়া জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি নিয়মিত জুমার খুতবায় মাদকের কুফল ও ইসলামে এর শাস্তি নিয়ে আলোচনা করতেন। এতে স্থানীয় কিছু মাদকসেবী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
গত ২৭ জুন জুমার নামাজের পর ইমাম মুফতি মিরাজুল ইসলাম নিজ গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী তার গতিরোধ করে মারধর করে এবং তার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
মুফতি মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায়ই জুমার নামাজে মাদক নিয়ে আলোচনা করতাম। অনেকদিন ধরেই কিছু যুবক এতে বিরক্ত ছিল। বিষয়টি আমি মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জুলমত খাঁকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘চাকরির শেষ দিনে তারা আমাকে অনুসরণ করছিল। একপর্যায়ে হামলা এবং হেনস্তা করে। আমি প্রথমে মানিকগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে এবং পরে হরিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করি।’
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জুলমত খাঁ বলেন, ‘ইমাম সাহেব ৮ মাস ধরে আমাদের মসজিদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত কারণে ইস্তফা দিয়ে নিজ বাড়ির পথে রওনা দেন। মাঝপথে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা আমরা শুনেছি। যদি কেউ তার মাদকের বিরুদ্ধে বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয় এবং আগে জানানো হতো, তাহলে কমিটি অবশ্যই ব্যবস্থা নিত।’
এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার ওসি মো. মুমিন খান বলেন, ‘ইমামের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এরই মধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন, আইনি প্রক্রিয়া চলমান।’