পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া লঞ্চঘাট বিলীন হওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে লঞ্চ সার্ভিস সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল ২ নম্বর ফেরিঘাটে। তবে নতুন করে সেখানকার র্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শুক্রবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে লঞ্চ চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে নৌপথে সরাসরি লঞ্চ যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার পান্না লাল নন্দী সন্ধ্যা ৭টার দিকে গণমাধ্যমকে জানান, ‘মঙ্গলবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চগুলো সরিয়ে ২ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকেই যাত্রী ওঠানামা চলছিল। কিন্তু আজ সন্ধ্যায় একটি র্যাম্পের তার ছিঁড়ে যায় এবং অন্যটির নিচের মাটি সরে যায়। এতে সেটিও যেকোনো সময় ছিঁড়ে যেতে পারে এমন ঝুঁকি থাকায় আমরা লঞ্চগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছি।’
এর আগে, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে পদ্মার প্রবল স্রোতে পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের একটি জেটি ধসে পড়ে এবং অপরটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তখন সীমিত পরিসরে ২ নম্বর ফেরিঘাট ব্যবহার করে লঞ্চ চলাচল চালু রাখা হয়। কিন্তু নতুন করে র্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটিও আর সম্ভব হয়নি।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হলো পাটুরিয়া লঞ্চঘাট। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই রুট ব্যবহার করে রাজধানীসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে থাকেন।